ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

একুশের বইমেলায় মৌলবাদী বই রাখা যাবে না: মেয়র রেজাউল

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭০০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২০, ২০২২
একুশের বইমেলায় মৌলবাদী বই রাখা যাবে না: মেয়র রেজাউল বইমেলা উদ্বোধন শেষে পরিদর্শন করেন চসিক মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী। ছবি: সোহেল সরওয়ার

চট্টগ্রাম: বিভিন্নভাবে প্রপাগাণ্ডা ছড়ানো হচ্ছে একুশের বইমেলাকে ঘিরে। ইসলামিক, ধর্মীয় বই রাখা যাবে না এমন প্রপাগাণ্ডা ছড়ানো হচ্ছে।

এরা একাত্তরেও ছিল, এরা আগেও ছিল, এখনো আছে। এদের প্রেতাত্মারা এখনো মরে যায়নি।
ইসলামি, ধর্মীয় বই রাখা যাবে এটা না কোথাও বলা হয়নি। আমরা তো বলিনি ইসলামি বই রাখা যাবে না। অবশ্যই ইসলামি বই রাখা যাবে। কিন্তু আমি দৃঢ়ভাবে বলতে চাই কোনো মৌলবাদী বই রাখা যাবে না। অনেক ইসলামি প্রকাশনা এখানে রয়েছে। কোনো মিথ্যা প্রপাগাণ্ডায় কান দেবেন না, গুজবে কান দেবেন না।  

জঙ্গিবাদের আশ্রয়দাতা যারা, জঙ্গিবাদকে যারা উৎসাহিত করে, যে বই পড়ে আমাদের তরুণ প্রজন্ম জঙ্গিবাদে উৎসাহিত হয়ে সেই সমস্ত বই এ মেলাতে রাখা যাবে না। মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ। আমরা অনেক রক্তের বিনিময়ে এ দেশ স্বাধীন করেছি। আমরাই একমাত্র জাতি নিজের মায়ের ভাষা প্রতিষ্ঠিত করার জন্য রক্ত দিয়েছি। পৃথিবীর আর কোনো জাতি নিজের মায়ের ভাষার জন্য রক্ত দেয়নি।  

রোববার (২০ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে এমএ আজিজ স্টেডিয়ামের জিমনেসিয়াম চত্বরে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) একুশের বইমেলা উদ্বোধনকালে মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী এসব কথা বলেন।  

তিনি বলেন, আগামীকাল মহান একুশে ফেব্রুয়ারি। যদিও প্রতিবছর চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন এখানে একুশের বইমেলা করে থাকে। গতবার আমরা করোনার কারণে বইমেলা করতে পারিনি, দুর্ভাগ্য। এবারও দেরি হয়েছে একই কারণে। আমাদের সৌভাগ্য সবার মিলিত প্রচেষ্টায় একটু দেরিতে হলেও আজ ২০ ফেব্রুয়ারি সম্মিলিতভাবে বইমেলা করতে পারছি। আমাদের এ আবেগের মাস, এ ভাষার মাসে আমরা একুশের বইমেলার উদ্বোধন ঘোষণা করেছি। যারা এসেছেন সবাইকে আমি ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আমি দেশে ছিলাম না। মেলা কমিটি, প্যানেল মেয়ররা, আমাদের কর্মকর্তারা অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন এ বইমেলা সফল করার জন্য। সব প্রকাশক, শিল্পী-সাহিত্যিক-সাংবাদিক সবাইকে অনেক ধন্যবাদ।  

স্বাস্থ্যসচেতন হয়ে সরকারি বিধিবিধান মেনে বইমেলাকে সুন্দর করার আহ্বান জানান মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী। তিনি বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক বই নগদ টাকায় কিনে শিশু-কিশোরদের উপহার দেন।   

চসিক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহীদুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন শিক্ষা স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান ও কাউন্সিলর ডা. নিছার উদ্দিন আহমেদ মঞ্জু। বক্তব্য রাখেন প্যানেল মেয়র আবদুস সবুর লিটন, মো. গিয়াস উদ্দিন, আফরোজা কালাম, সমাজকল্যাণ স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতি আবদুস সালাম মাসুম, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, মুক্তিযোদ্ধা ট্রাস্টের চেয়ারম্যান ডা. মাহফুজুর রহমান, নগর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোজাফফর আহম্মদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সৃজনশীল প্রকাশনা পরিষদের সভাপতি মহিউদ্দিন শাহ আলম নিপু, চসিক সচিব খালেদ মাহমুদ, প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা লুৎফুন নাহার, অধ্যাপক মাসুম চৌধুরী।  

উপস্থিত ছিলেন কাউন্সিলর আবুল হাসনাত মো. বেলাল, নাজমুল হক ডিউক, মো. মোর্শেদ আলী, মো. সলিম উল্লাহ বাচ্চু, মো. জাবেদ, গোলাম মো. জোবায়ের, গাজী মো. শফিউল আজিম, আতাউল্লাহ চৌধুরী, জহর লাল হাজারী, হাসান মুরাদ বিপ্লব, পুলক খাস্তগীর, মো. ইসমাইল, মো. ইলিয়াছ, মো. নুরুল আমিন, মো. আব্দুল মান্নান, ছালেহ আহম্মদ চৌধুরী, মো. শেখ জাফরুল হায়দার চৌধুরী, নুরুল আলম, শৈবাল দাশ সুমন, সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর তছলিমা বেগম নুরজাহান, আঞ্জুমান আরা, শাহীন আকতার রোজী, হুরে আরা বেগম, নিলু নাগ, রুমকী সেনগুপ্ত, জাহেদা বেগম পপি, ফেরদৌসি আকবর, লুৎফুন্নেচ্ছা দোভাষ বেবী, কবি ওমর কায়সার, সাংবাদিক রিয়াজ হায়দার চৌধুরী, প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ফরিদ, সৃজনশীল প্রকাশনা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আলী প্রয়াস।

১৯ দিনের বইমেলায় থাকছে নতুন বইয়ের মোড়ক উন্মোচন, পেশাজীবী সমাবেশ, ছড়া উৎসব, চাঁটগা উৎসব, মরমি উৎসব, কবিতা উৎসব, নৃগোষ্ঠী উৎসব, তারুণ্য উৎসব, নারী উৎসব, বির্তক প্রতিযোগিতা। এসব বর্ণিল আয়োজনে ঢাকা-চট্টগ্রামসহ দেশের খ্যাতিমান শিল্পী, সাহিত্যিক, বুদ্ধিজীবী, মুক্তিযোদ্ধারা অংশ নেবেন।  

>> চট্টগ্রামে বঙ্গবন্ধুকে নিবেদিত একুশে বইমেলা শুরু রোববার

বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২০, ২০২২
এআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।