ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১, ০২ মে ২০২৪, ২২ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

চট্টগ্রামে গৃহকর বাড়ানো হবে না, আওতা বাড়বে: মেয়র রেজাউল

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০১৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৮, ২০২২
চট্টগ্রামে গৃহকর বাড়ানো হবে না, আওতা বাড়বে: মেয়র রেজাউল

চট্টগ্রাম: নগরে কোনো ধরনের গৃহকর বাড়ানো হবে না উল্লেখ করে চসিক মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী বলেছেন, শুধু এর আওতা বাড়ানো হবে অর্থাৎ যদি আগে ভবন ২ তলা থাকে এখন তা ৩ বা তার অধিক হয় তাহলে সেই বর্ধিত অংশটুকুরই কর নেওয়া হবে।  

তিনি বলেন, সেবাপ্রত্যাশী নগরবাসীর দুর্ভোগ ও ভোগান্তি কমাতে ম্যানুয়েল পদ্ধতি থেকে অনলাইনের আওতায় গৃহকর ও ট্রেড লাইসেন্স ফি জমা দিয়ে ট্রেড লাইসেন্স গ্রহণ এবং নবায়ন করতে এখন থেকে ঘরে বসেই নগরবাসী চসিকের উন্নত সেবা নিতে পারবে।

এতে একদিকে প্রতিষ্ঠানের দীর্ঘদিনের অনিয়ম দূর হবে এবং কাজের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত হবে।  

মঙ্গলবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে আন্দরকিল্লার নগর ভবনে কে.বি আবদুচ সাত্তার মিলনায়তনে এটিএনএন্ডআরকে’র তত্ত্বাবধানে ও ডাচ বাংলা ব্যাংকের সহযোগিতায় ই-রেভিনিউ সিস্টেম সফটওয়্যারের উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র এসব কথা বলেন।

চসিক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহীদুল আলম’র সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য দেন প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মো. নজরুল ইসলাম। বক্তব্য দেন প্যানেল মেয়র আবদুস সবুর লিটন, অর্থ স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতি অধ্যাপক মো. ইসমাইল, কাউন্সিলর গাজী মো. শফিউল আজিম, ওয়াসিম উদ্দিন চৌধুরী, সচিব খালেদ মাহমুদ আইন কর্মকর্তা মো. জসিম উদ্দিন, স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট মনীষা মহাজন, মেয়রের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম, রাজস্ব কর্মকর্তা সৈয়দ শামস তাবরীজ, চসিক প্রোগ্রামার মো. ইকবাল হাসান, এটিএনএন্ডআরকে সফটওয়্যারের মোহিনুল আবেদীন, ডাচ-বাংলা ব্যাংকের এসভিপি মো. সোহেল, ডিটিও জানে আলম প্রমুখ।

মেয়র বলেন, অটোমেশন কার্যক্রমের আওতায় আসায় যে কেউ বাড়িতে বসে পৌরকর পরিশোধ করতে পারবেন এবং করদাতা তার কর সংক্রান্ত সর্বশেষ তথ্য ঘরে বসেই জানতে পারবেন। অনলাইন ভিত্তিক হওয়ায় হোল্ডিং ট্যাক্স নিয়ে কর আদায়কারীদের বিরুদ্ধে যেসব অনিয়মের অভিযোগ আছে সেগুলোও দূরীভূত হবে।  

তিনি বলেন, ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে ম্যানুয়েল পদ্ধতিতে কার্যক্রম পরিচালিত করায় চসিকের হোল্ডিং ট্যাক্সের আলোচিত অ্যাসেসমেন্ট কার্যক্রম স্থগিত করেছিল স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। ওই বছরের ১১ ডিসেম্বর চসিককে স্থানীয় সরকার বিভাগ হোল্ডিং ট্যাক্সের পুনর্মূল্যায়নে প্রথাগত ম্যানুয়েল পদ্ধতি অনুসরণ না করার এবং একই সঙ্গে জরুরি ভিত্তিতে অনলাইন ভিত্তিক অটোমেশন পদ্ধতি চালু করার নির্দেশনা প্রদান করে। কিন্তু চসিক ঐ প্রকল্পের আওতায় কোনো কার্যক্রম গ্রহণ করেনি, ২০১৮ সালে এর সঙ্গে যুক্ত হয় চসিক।

বাংলাদেশ সময়: ২০১৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৮, ২০২২
এআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।