ঢাকা, সোমবার, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

জলাবদ্ধতা নিরসনে যুবরা রাখতে পারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা: ড. ইফতেখার 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১২১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৯, ২০২২
জলাবদ্ধতা নিরসনে যুবরা রাখতে পারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা: ড. ইফতেখার  ...

চট্টগ্রাম: জলাবদ্ধতা নিরসন ও খাল পুনঃরুদ্ধারে যুবসমাজ রাখতে পারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। বিভিন্ন যুব অ্যালায়েন্স ও নেটওয়ার্কের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট সকল কর্তৃপক্ষ এবং বিশেষজ্ঞদের সমন্বয় ছাড়াও খালসমূহ পূণঃরুদ্ধারে নগরবাসীর সচেতনতা বৃদ্ধিতে যুবদের এগিয়ে আসতে হবে।

শনিবার (২৯ জানুয়ারি) নগরীর থিয়েটার ইন্সিটিটিউটে ‘জলাবদ্ধতা নিরসন ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় যুবদের করণীয়’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী।

সেভ দ্য চিলড্রেন ও ইপসার সহযোগিতায় এ গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করে চট্টগ্রামের যুব সংগঠনসমূহের নেটওয়ার্ক বাংলাদেশ অ্যালায়েন্স অব ইয়ুথ (বে)।

অধ্যাপক ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, প্রতিবছর বর্ষার সময়ে জলাবদ্ধতা প্রকট আকার ধারণ করলেও এর প্রেক্ষাপট মূলত সারা বছরেই বিদ্যমান থাকে। নগরীর জলাবদ্ধতার পিছনে বহু কারণের মধ্যে বর্জ্য অব্যবস্থাপনা ও নগরীর খাল ও নালাসমূহের ভরাট অন্যতম। চট্টগ্রাম শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনে ১৯৬১ সালে গৃহিত রূপরেখার আদলে শহরের অবকাঠামো এবং ড্রেনেজ ব্যবস্থা ঢেলে সাজাতে হবে।

পূর্বার সভাপতি প্রকৌশলী সনাতন চক্রবর্ত্তী বিজয় এর সঞ্চালনায় যুব সংগঠনসমূহের প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে সভায় সভাপতিত্ব করেন ইপসার উপ পরিচালক (সামাজিক উন্নয়ন) নাছিম বানু। জলাবদ্ধতা ও খাল ভরাট চট্টগ্রামের সবচেয়ে বড় সমস্যা। চাক্তাই খালসহ নগরীর অন্যান্য খাল সত্যিকার অর্থেই এখন ময়লা আবর্জনার ভাগারে পরিণত হয়েছে। এই সমস্যার কোন একক সংস্থার পক্ষেই এখন আর মোকাবেলা করা সম্ভব নয়। এর জন্য প্রয়োজন সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টা।  

তিনি বলেন, চট্টগ্রাম আমাদের শহর। এই শহরের সকল সমস্যা নিরসনে আমাদের যুবসমাজ সবচেয়ে বড় ভূমিকা পালন করতে পারবে। বাংলাদেশ অ্যালায়েন্স অব ইয়ুথ এ ক্ষেত্রে অধিক কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে পারবে কারন এখানে এক ছাতার তলে অসংখ্য সংগঠনের সদস্যবৃন্দ রয়েছেন।

সভায় আলোচক উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ) বোর্ড সদস্য এবং স্থপতি ইন্সটিটিউশন, চট্টগ্রাম চ্যাপ্টারের সভাপতি স্থপতি আশিক ইমরান। তিনি বলেন, চট্টগ্রামের উন্নয়ন সংস্থাগুলোর সমন্বয়হীনতা রুখতে যুব সমাজ বিশেষ ভূমিকা রাখতে পারে। বে-এর মত সেচ্ছাসেবী যুব সংগঠনসমূহের নেটওয়ার্ক যেখানে একত্রে অনেকগুলো সংগঠন একই উদ্দেশ্যে কাজ করে তারা চাইলেই উক্ত সংস্থাগুলোর উপর চাপ প্রয়োগ করতে পারে। জনমত গড়ে তুলে চলমান উন্নয়নকে বেগবান ও ফলপ্রসূ করতে পারে।

বাংলাদেশ অ্যালায়েন্স অব ইয়ুথ এর সদস্য সংগঠনসমূহের প্রতিনিধি ছাড়াও সভায় আলোচক হিসে্েব আরো বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতি কাউন্সিলর মো, মোবারক আলী, বন ও বস্তি উন্নয়ন কর্মকর্তা মঈনুল হোসেন আলী চৌধুরী, প্রাবন্ধিক ও গবেষক খন রঞ্জন রায়, দৈনিক পূর্বদেশের সহকারি সম্পাদক, আবু তালেব মো. বেলাল, স্থপতি ইন্সটিটিউশন, চট্টগ্রাম চ্যাপ্টার ট্রেজারার, স্থপতি বিজয় শংকর তালুকদার, চট্টগ্রাম আরবান নেটওয়ার্কেও সদস্য ইউএনডিপি’র বিভাগীয় সমন্বয়ক সরোয়ার জাহান, উৎসের প্রধান নির্বাহী পরিচালক মোস্তফা কামাল যাত্রা, ব্রাইট বাংলাদেশ ফোরামের নির্বাহী পরিচালক উৎপল বড়ুয়া প্রমুখ।  

বাংলাদেশ সময়: ২১১৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৯, ২০২২ 
বিই/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।