ঢাকা, শুক্রবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

দুদকের মামলায় সাবেক ওসি প্রদীপের সাক্ষ্যগ্রহণ ১৭ ফেব্রুয়ারি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩১৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৭, ২০২২
দুদকের মামলায় সাবেক ওসি প্রদীপের সাক্ষ্যগ্রহণ ১৭ ফেব্রুয়ারি ছবি: উজ্জ্বল ধর

চট্টগ্রাম: অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলার আসামি টেকনাফ থানার বরখাস্ত হওয়া ওসি প্রদীপ কুমার দাশের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ স্থগিত করেছেন আদালত।  

সোমবার (১৭ জানুয়ারি) দুপুরে চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিশেষ জজ মুন্সী আবদুল মজিদের আদালত এই আদেশ দেন।

 

এর আগে গত ১৫ ডিসেম্বর এই আদালত ওসি প্রদীপ কুমার দাশের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় বিচার শুরুর আদেশ দিয়েছিলেন।  

প্রদীপ কুমার দাশের আইনজীবী রতন চক্রবর্তী বাংলানিউজকে বলেন, সোমবার সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য প্রথম দিন ধার্য ছিল।

চার্জ গঠনের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে একটি পিটিশন দায়ের করা হয়েছে। আদালতে আসামি ও সাক্ষী হাজির ছিল। পিটিশন হাইকোর্টে অপেক্ষমাণ রয়েছে। যার কারণে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য সাক্ষ্যগ্রহণ স্থগিত  রাখার আবেদন করা হয়। সেখান থেকে যদি আমাদের পক্ষে আদেশ না আসে, তাহলে আইন নিজস্ব গতিতে চলবে। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত সাক্ষ্যগ্রহণ স্থগিত করেছেন। ১৭ ফেব্রুয়ারি পরবর্তী দিন ধার্য্য করা হয়েছে।  

গত ২৬ জুলাই দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সমন্বিত জেলা কার্যালয় চট্টগ্রাম-২ এর সহকারী পরিচালক মো. রিয়াজ উদ্দিন অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ১ সেপ্টেম্বর অভিযোগপত্রের ওপর শুনানি হয়।  ২৯ জুন দুপুরে চট্টগ্রামের সিনিয়র স্পেশাল জজ ও মহানগর দায়রা জজ শেখ আশফাকুর রহমানের আদালত প্রদীপ কুমার দাশের অবৈধ সম্পদ দেখভালের দায়িত্ব কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসককে দেন।

২০ সেপ্টেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও দুদকের সহকারী পরিচালক মো. রিয়াজ উদ্দিনের করা আবেদনের প্রেক্ষিতে চট্টগ্রাম মহানগর সিনিয়র স্পেশাল দায়রা জজ শেখ আশফাকুর রহমানের আদালত প্রদীপ ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের করা অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলার এজাহারে উল্লিখিত সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ দেন।

২০২০ সালের ২৩ আগস্ট দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়, চট্টগ্রাম-২ এর তৎকালীন সহকারী পরিচালক মো. রিয়াজ উদ্দিন বাদি হয়ে প্রদীপের অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করেন। মামলায় প্রদীপের সঙ্গে তার স্ত্রী চুমকিকেও আসামি করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে ৩ কোটি ৯৫ লাখ ৫ হাজার ৬৩৫ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন, সম্পদের তথ্য গোপন ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগ আনা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৩১৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৭, ২০২২
এমআই/এসি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।