ঢাকা, শনিবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

রেস্টুরেন্টে বিধি-নিষেধে বিশেষ বিবেচনার আহ্বান

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯০১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৫, ২০২২
রেস্টুরেন্টে বিধি-নিষেধে বিশেষ বিবেচনার আহ্বান ইলিয়াছ আহমেদ ভূঁইয়া

চট্টগ্রাম: নগরে ছোট বড় ১০ হাজার হোটেল-রেস্টুরেন্টে ৩ লাখ শ্রমিকের কর্মসংস্থান রয়েছে দাবি ওমিক্রন মোকাবেলায় বিধি-নিষেধ আরোপকালে বিশেষ বিবেচনার আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির চট্টগ্রাম মহানগর সভাপতি ইলিয়াছ আহমেদ ভূঁইয়া।  

তিনি বলেন, ওমিক্রনের বিস্তার রোধে টিকা কার্ড ছাড়া রেস্টুরেন্টে খাওয়া যাবে না এমন একটি খবর আমাদের নজরে এসেছে।

কিন্তু এখনো অনেকে টিকা পায়নি, অনেকে টিকা দিলেও সনদ বা কার্ড পায়নি। তাই রেস্টুরেন্টের কর্মীরা কারও কাছে টিকা সনদ চাইলে বিতর্ক সৃষ্টি হবে।
সৃজনশীল ও বাস্তবধর্মী হবে- রেস্টুরেন্টের অর্ধেক আসন তুলে স্বাস্থ্যবিধি মেনে খোলা রাখা। গণপরিবহনে যেমন অর্ধেক যাত্রী পরিবহন করে। আমরা প্রতিদিন রেস্টুরেন্ট ও আসবাব ধোয়া-মোছা, হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার, মাস্ক পরে রেস্টুরেন্টে ঢোকানোর বিষয়ে নিশ্চিত করতে পারব।  

বুধবার (৫ জানুয়ারি) বিকেলে বাংলানিউজকে তিনি এসব কথা বলেন।  

তিনি বলেন, বৈশ্বিক মহামারি করোনায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন রেস্তোরাঁ মালিকরা। বন্ধের সময়ও দোকান ভাড়া, গ্যাসের বিল, পানির বিল, কর্মচারীর বেতন দিতে হয়েছে তাদের। ৮-১০টি লাইসেন্স ফলো করতে হচ্ছে। ভ্যাট ও আয়কর মিলে অনেক রাজস্ব দিতে হয়েছে। করোনার প্রভাবে রেস্টুরেন্ট খাত এখন রুগণ। অনেক রেস্টুরেন্ট বন্ধ হয়ে গেছে। দৈনিক ভাড়ায় যারা রেস্টুরেন্ট করেন তাদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। একেকটি রেস্টুরেন্টে ২০-৮০ জন শ্রমিক কাজ করে। গড়ে ৩০ জন করে ধরলে চট্টগ্রামে ১০ হাজার রেস্টুরেন্টে ৩ লাখ শ্রমিকের কর্মসংস্থান হয়েছে। দু-চার ঘণ্টা দোকান খোলা রেখে পার্সেল বিক্রি করে, ইফতার বিক্রি করেও লোকসান হয়েছে। মহামারির সময় আমরা গ্যাস বিল মওকুপ চেয়ে পাইনি। কিস্তিতে দিতেও রাজি নয়।

রেস্টুরেন্টের সঙ্গে হোটেল মালিক, শ্রমিক ও ভোক্তার ভাগ্য জড়িত নয়, এর সঙ্গে মুদি দোকানি, সবজি, মুরগি, ডিম, মাছ উৎপাদনকারী ও বিক্রেতার ভাগ্যও জড়িত। তাই জীবন ও জীবিকার সমন্বয় করতে হবে।  

কল্যাণমুখী সিদ্ধান্ত নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে ইলিয়াছ আহমেদ ভূঁইয়া বলেন, অহেতুক আতঙ্ক সৃষ্টি না করে সঠিক ও যুগোপযোগী সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে করোনামুক্ত দেশ গড়তে সরকারকে সহযোগিতা করতে আমরা প্রস্তুত। পাশাপাশি টিকে থাকার জন্য সরকারের সহযোগিতাও চাই আমরা।  

বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৫, ২০২২
এআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।