চট্টগ্রাম: করোনার কারণে হয়নি লালদীঘির জব্বারের বলীখেলা ও বৈশাখী মেলা। যে মেলা থেকে চট্টগ্রামের মানুষ সংগ্রহ করে বছরের গৃহস্থালি সামগ্রী।
সরেজমিন দেখা গেছে, জামদানি শাড়ি থেকে বিশাল এলইডি টিভি- কী নেই মেলায়! মাটির তৈরি তৈজসপত্র, শিশুদের খেলনা, মেয়েদের গহনা, শাল, থ্রিপিস, জুতা, গৃহস্থালি সামগ্রী, আচার, মুখরোচক খাবার, মুড়ি-মুড়কি, পিঠাপুলিসহ বিভিন্ন ধরনের স্টল রয়েছে। শিশুদের জন্য কয়েকটি রাইডও রয়েছে দক্ষিণ-পূর্ব প্রান্তে।
মেলার উত্তর-পশ্চিম প্রান্তে একমাত্র মাটির তৈরি সামগ্রীর স্টল। সেখানে বঙ্গবন্ধুর একটি প্রতিকৃতি বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ২০০ টাকায়।
মাদারবাড়ী থেকে মেলায় এসেছেন আনজুমান বেগম। তিনি বলেন, মোটামুটি ভালো মানের পণ্যসামগ্রী এসেছে মেলায়। কয়েকটি স্টল আছে একদামের। বাকিগুলোতে দরকষাকষি করে কিনতে হচ্ছে। সবচেয়ে বড় কথা, সংসারের টুকিটাকি প্রায় সব জিনিসই মিলছে এবারের মেলায়।
প্রায় সব ধরনের স্টলেই দর্শক ক্রেতা থাকলেও দক্ষিণ প্রান্তে ‘শ্বশুর বাড়ির পিঠা’র স্টলে ভিড় উপচে পড়া। ক্রেতাদের চোখের সামনে কারিগররা তৈরি করে দিচ্ছেন মজাদার ভাপা পিঠা, পাটিসাপটা, পুলিসহ রকমারি পিঠা। ৩০ টাকায় একেকটি পিঠা হচ্ছে এ স্টলে।
মেলার ইজারাদার হাজি মো. সাহাবউদ্দিন বাংলানিউজকে জানান, একটি প্যাভেলিয়নসহ ২০০ ছোট-বড় স্টল রয়েছে এবারের মেলায়। করোনাকাল হওয়ায় মেলা আসা দর্শক-ক্রেতাদের প্রবেশমুখে হ্যান্ড স্যানিটাইজার দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি নিরাপত্তার জন্য সার্বক্ষণিক আর্চওয়ে বসানো হয়েছে। ঢোকা ও বের হওয়ার পথ আলাদা করা হয়েছে।
তিনি জানান, দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তারা ভালো মানের পণ্যসামগ্রী নিয়ে এসেছেন। তাই সাড়াও পাচ্ছেন বেশ।
‘মুক্তিযুদ্ধের বিজয় বীর বাঙালির অহংকার’ স্লোগানে ডিসেম্বরের প্রথম দিন উদ্বোধন হয়েছে পণ্যমেলার। রোববার ও সোমবার (৫-৬ ডিসেম্বর) ঘূর্ণিঝড় ও নিম্নচাপের কারণে বৃষ্টির কারণে কিছুটা ছন্দপতন হলেও বেচাকেনা তেমন একটা কমেনি। বিক্রেতারা আশা করছেন, মাসব্যাপী মেলায় তারা কাঙ্ক্ষিত পরিমাণ পণ্য বিক্রি করতে পারবেন।
বাংলাদেশ সময়: ১২৪৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৭, ২০২১
এআর/টিসি