ঢাকা, বুধবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

চবি ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতি, অভিযুক্তদের বিষয়ে নেই সিদ্ধান্ত!

মোহাম্মদ আজহার, ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৪৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৫, ২০২১
চবি ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতি, অভিযুক্তদের বিষয়ে নেই সিদ্ধান্ত! চবি লোগো

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) ২০২০-২১ সেশনের স্নাতক প্রথমবর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতি করে উত্তীর্ণ হওয়া এক শিক্ষার্থীর জবানবন্দিতে বেরিয়ে আসে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ডি-ইউনিটে একই উপায়ে পাস করা দুজনের নাম। ৫ দিন পেরিয়ে গেলেও এ বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

ভর্তি পরীক্ষার্থীদের বিষয় নির্বাচনের সময় দ্বিতীয় দফায় ৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। ফলে অভিযুক্ত দুই শিক্ষার্থীর বিষয় নির্বাচন ও ভর্তি প্রক্রিয়া স্বাভাবিক নিয়মে হবে কিনা, সেটিও এখন বড় প্রশ্ন।

রোববার (০৫ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টা থেকে দেড়টা পর্যন্ত দুই ঘণ্টা চবি উপাচার্যের দফতরে ভর্তি কমিটির একটি সভাতেও এ বিষয়টি আলোচ্য বিষয়ভুক্ত ছিল না।  

ভর্তি কমিটির একজন সদস্য বাংলানিউজকে বলেন, সভায় আমরাও ভেবেছিলাম জালিয়াতির বিষয়টি উঠে আসবে। তবে এটি আলোচ্য বিষয়ভুক্ত করা হয়নি। হতে পারে ডি-ইউনিট থেকেই এ বিষয়টি দেখা হবে। সভায় বিষয় নির্বাচনের তারিখ ৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। এছাড়া ভর্তি পরীক্ষা কেন্দ্রিক খরচের হিসাবগুলো আলোচনা-পর্যালোচনা হয়েছে।

গত ০১ ডিসেম্বর জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষার সাক্ষাৎকারের সময় গোপন তথ্যের ভিত্তিতে মোস্তফা কামাল (১৯) নামে এক শিক্ষার্থীকে আটক করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। জিজ্ঞাসাবাদে মোস্তফা কামাল জানান, একই উপায়ে তার দুই বন্ধু ফরহাদ ও আশিক জালিয়াতির মাধ্যমে চবির ডি-ইউনিটে পাস করেছেন। মেধাতালিকায় যাদের স্থান ৭৯তম (রোল ৪৪১৩৬৭) ও ২৪৯তম রোল ৪১৬২৩১)। তারা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী মেহেদী ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী শামীমের মাধ্যমে এ জালিয়াতি করেছেন। ৪ লাখ টাকার চুক্তিতে মোস্তফা কামাল নিজেও একইভাবে জাবির ভর্তি পরীক্ষায় পাস করেছেন।

মোস্তফা কামালের জবানবন্দিতে বেরিয়ে আসা চবিতে পাস করা দু’জনের রোল নম্বর চেক করে তাদের নামের সঙ্গে এবং মেধাতালিকার সঙ্গে মিল পাওয়ার বিষয়টি বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেন চবির আইসিটি সেলের পরিচালক ড. মোহাম্মদ খাইরুল ইসলাম।

চবির ডি-ইউনিটের কো-অর্ডিনেটর অধ্যাপক ড. মুস্তাফিজুর রহমান ছিদ্দিকী বাংলানিউজকে বলেন, ভর্তি কমিটির আজকের সভায় এটি আলোচ্য বিষয়সূচির মধ্যে ছিল না। আমরা আগেই ভর্তি কমিটিকে বিষয়টি জানিয়েছি। আপাতত ভর্তি প্রক্রিয়া স্বাভাবিকভাবে চলবে। তা ছাড়া অভিযোগটি সত্য কিনা, সেটাও দেখার বিষয়।  

তিনি বলেন, এমনকি কেউ যদি ভর্তি হয়েও যায়, এরপর কোনো অভিযোগ প্রমাণ হলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষের।  

বাংলাদেশ সময়: ২০২৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৫, ২০২১
এমএ/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।