ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

চিকিৎসক ছাড়া ওষুধ দেওয়ার এখতিয়ার নেই কারও

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৪৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ২১, ২০২১
চিকিৎসক ছাড়া ওষুধ দেওয়ার এখতিয়ার নেই কারও ছবি: চমেক মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের শোভাযাত্রা।

চট্টগ্রাম: সারা বিশ্বজুড়ে অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স একটি জনস্বাস্থ্য সমস্যা হিসেবে দেখা দিয়েছে। জীবাণুসমূহ অ্যান্টিবায়োটিকের প্রতি তাদের প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করেই চলেছে।

জীবাণুগুলো অনেক রকম অ্যান্টিবায়োটিকের প্রতি প্রতিরোধী হয়ে পড়েছে।  

ফলে কম বা বেশি দামি সব ধরনের অ্যান্টিবায়োটিক সংক্রমণ চিকিৎসায় অকার্যকর হয়ে পড়ছে।

বাংলাদেশও এর ব্যতিক্রম নয়। এতে এ ধরনের রোগজীবাণু ব্যক্তির জন্য প্রাণঘাতী হওয়া ছাড়াও সমাজে নেতিবাচক প্রভাব তৈরি করতে পারে। তাই এ সংক্রান্ত সচেতনতা তৈরির বিকল্প নেই।  

চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজে ১৮-২৪ নভেম্বর উদযাপন করা হচ্ছে ‘বিশ্ব অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল সচেতনতা সপ্তাহ ২০২১’। অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স (অকার্যকারিতা) সহনীয় মাত্রায় আনার জন্য চিকিৎসকসহ সব পর্যায়ের স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীদের সচেতনতা তৈরিতে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজে বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে।  

সপ্তাহ উপলক্ষ্যে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবারের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে স্প্রেড অ্যাওয়ারনেস, স্টপ রেজিস্ট্যান্স অর্থাৎ সচেতনতা ছড়িয়ে দিয়ে অ্যান্টিবায়োটিকের অকার্যকারিতা প্রতিরোধ।  

রোববার (২১ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টায় চমেক মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের উদ্যোগে সচেতনতামূলক কর্মসূচির অংশ হিসেবে শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়।  

বিশেষজ্ঞদের মতে, চিকিৎসক ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক সেবন করা ঠিক নয়। এটির মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহার ক্ষতিকর। অ্যান্টিবায়োটিক ঠান্ডা বা ভাইরাসজনিত রোগে কোনও কাজ করে না। যদি ভাইরাসজনিত রোগে অ্যান্টিবায়োটিক প্রয়োগ করা হয়, তবে বিপজ্জনক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। এ ধরনের চিকিৎসা চলতে থাকলে অর্থাৎ অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার যথার্থ না হলে এমন একটা সময় আসবে যখন ব্যাকটেরিয়াকে মারা কঠিন হয়ে দাঁড়াবে।

দেশে রোগীরা ওষুধের দোকান থেকে মুখস্থ অ্যান্টিবায়োটিক কিনে নিয়মবহির্ভূতভাবে সেবন করে থাকেন। ফলে ওষুধটির যথার্থ প্রয়োগ না হওয়ায় জীবাণুগুলো ধীরে ধীরে রেজিস্ট্যান্স হয়ে পড়ছে। বিশ্বের অন্যান্য দেশে অ্যান্টিবায়োটিক বা অন্য কোনও ওষুধ কিনতে হলে চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন দেখাতে হয়। চিকিৎসক ছাড়া অন্য কারও ওষুধ দেওয়ার এখতিয়ার নেই।  

কিন্তু দেশে অ্যান্টিবায়োটিকের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া বা অন্য ওষুধের সঙ্গে এর কোনও ইন্টারঅ্যাকশন আছে কি-না তা সাধারণ জনগণের অজানা। অ্যান্টিবায়োটিক সেবন করতে গিয়ে অনেকে অন্যান্য সমস্যায় আক্রান্ত হচ্ছেন। তাই সচেতনতা জরুরি।  

বাংলাদেশ সময়: ১৪৪০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২১, ২০২১
এসি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।