চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়: চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে আমরা ঋণী। বর্তমানে দেশের একটি খ্যাতিমান বিশ্ববিদ্যালয় এটি।
বুধবার (১৭ নভেম্বর) চাকসুর সাবেক ভিপি ও সাবেক এমপি মাজহারুল হক শাহ চৌধুরী, ভিপি মো. নাজিম উদ্দীন, জিএস মো. জমির চৌধুরী ও মো. আজিম উদ্দিন গণমাধ্যমে পাঠানো এক যৌথ বিবৃতিতে এসব কথা বলেন।
বিবৃতিতে চাকসুর সাবেক নেতারা বলেন, ষাটের দশকের শেষের দিকে এ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য চট্টগ্রামের সব রাজনৈতিক ও ছাত্রনেতা, ব্যবসায়ী, সমাজসেবীসহ সর্বস্তরের মানুষের ঐকান্তিক প্রচেষ্টা, সাহায্য ও সহযোগিতা ছিল।
মুক্তিযুদ্ধের সময় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অবস্থান নিয়ে মুক্তিযোদ্ধারা হানাদার বাহিনীর সঙ্গে যুদ্ধ করেছেন। তখন বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস হয়ে উঠেছিল একটি রণাঙ্গন। যা বাংলাদেশের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। এ মুক্তিযুদ্ধে শহীদ হন চাকসুর প্রথম নির্বাচিত জিএস আবদুর রব। এ ছাড়া প্রকৌশল দফতরের কর্মচারী মোহাম্মদ হোসেন বীরপ্রতীক, ছাত্রনেতা মো. নাজিম উদ্দীন খান, ফরহাদ হোসেনসহ বেশ কয়েকজন ছাত্রনেতা ও শিক্ষক শহীদ হন। আজকের ঐতিহাসিক এই দিনে আমরা তাদের গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি।
বিগত ৫৫ বছরে এ বিশ্ববিদ্যালয় অনেক জ্ঞানী, গুণী, গবেষক, নোবেলজয়ী, পণ্ডিত ব্যক্তিত্ব সৃষ্টি করেছেন। যাদের অবদান দেশ গঠনে বিশেষ ভূমিকা রেখেছে। শুধু দেশে নয় সারাবিশ্বে তারা আলো ছড়িয়েছেন। অনেক রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, মন্ত্রী, সংসদ সদস্য, সামরিক, বেসামরিক, সরকারি উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, ব্যবসায়ী, সমাজসেবী এ বিশ্ববিদ্যালয়ে গড়ে উঠেছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য, উপ-উপাচার্য, চাকসুর নির্বাচিত সব ভিপি ও জিএস, শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী, শিক্ষার্থী সবার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় বিশ্ববিদ্যালয় আজ এ জায়গায় এসেছে। ৫৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের প্রতি আন্তরিকতা শুভেচ্ছা।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৭, ২০২১
এমএ/টিসি