চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়: কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ থেকে বগিভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ হওয়ার পরও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ছাত্রলীগের বগিভিত্তিক গ্রুপগুলোর দখলে রয়েছে আবাসিক হলের অনেক কক্ষ। তালা ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে দখলে নেওয়া এসব কক্ষের দরজায়।
চবির সোহরাওয়ার্দী হলে দেখা যায় এমন দৃশ্য।
কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের নির্দেশনা থাকলেও বগিভিত্তিক রাজনীতি থেকে বের হতে পারছে না চবি ছাত্রলীগ। বর্তমানে বগিভিত্তিক প্রায় নয়টি গ্রুপ ক্যাম্পাসে সক্রিয় রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষাকে ঘিরে ক্যাম্পাসে বিভিন্ন স্থানে চিকা মারতে দেখা গেছে ছাত্রলীগের বগিভিত্তিক গ্রুপগুলোকে। সক্রিয় গ্রুপগুলোর মধ্যে রয়েছে- সিক্সটি নাইন, সিএফসি ও বিজয় ভিএক্স, আরএস, একাকার, বাংলার মুখ, কনকোর্ড ও এপিটাফ গ্রুপ।
এদিকে ক্যাম্পাসে বগিভিত্তিক রাজনীতি সক্রিয় থাকায় কিছুদিন পরপরই নিজেদের মধ্যে কোন্দলে জড়ায় তারা। আবাসিক হলগুলোতেও রয়েছে বগিভিত্তিক সিট দখলের প্রথা। অধিকাংশ আবাসিক হলেই কোনো না কোনো বগিভিত্তিক গ্রুপের আধিপত্য রয়েছে। যার ফলে সংঘর্ষে জড়ালে আবাসিক হলের আসবাবপত্র ভাংচুর ও লুটপাট করে প্রতিপক্ষকে ক্ষতিগ্রস্ত করার প্রবণতা রয়েছে গ্রুপগুলোর মধ্যে।
২০২০ সালের মার্চে বিজয়, সিক্সটি নাইন ও কনকর্ড গ্রুপের মধ্যে ত্রিমুখী ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে৷ সে সময় আলাওল এবং এএফ রহমানের হলের অন্তত ৮০টি কক্ষ ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। আহত হন অর্ধশতাধিক। আটক করা হয় ৫৭ জনকে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ছিল ৬ লাখ টাকার বেশি। অনেক শিক্ষার্থী তাদের মোবাইল, ল্যাপটপসহ প্রয়োজনীয় ডিভাইস, কাগজপত্র হারান।
চবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল হক রুবেল বাংলানিউজকে বলেন, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ পরপর দুইবার বগিভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ করেছে। এরপরও যারা বগির নামে হলের কক্ষগুলোতে তালা দিয়ে রেখেছে, আমরা প্রশাসনকে অনুরোধ করবো তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে।
তিনি বলেন, আবাসিক হলে রাজনীতির সুষ্ঠু পরিবেশ তৈরি হলে আমরা হলভিত্তিক কমিটি করে দেব। যারা এসবের সঙ্গে জড়িত, তারা হলভিত্তিক রাজনীতি চায় না।
প্রক্টর ড. রবিউল হাসান ভূঁইয়া বাংলানিউজকে বলেন, আমরা হলের রুম দখলের বিষয়টি নোট করেছি। দেখেশুনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৬, ২০২১
এমএ/টিসি