ঢাকা, শনিবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

বাবা-ছেলে খুনের রহস্য বের করলো পিবিআই

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৪৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ২০, ২০২১
বাবা-ছেলে খুনের রহস্য বের করলো পিবিআই গ্রেফতার মো. ফিরোজ , মো. সালাহউদ্দিন প্রকাশ মান্নান ও মো. এখলাছ

চট্টগ্রাম: ফটিকছড়ি উপজেলার কাঞ্চননগর ইউনিয়নের মানিকপুর গ্রামের বাবা-ছেলের হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) চট্টগ্রাম জেলা। হত্যায় জড়িত তিনজনকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠালে একজন ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

ফটিকছড়ি উপজেলার কাঞ্চননগর ইউনিয়নের মানিকপুর গ্রামে এজাহার মিয়া (৭০) ও তার ছেলে ফকির আহাম্মদ (৩৩) হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছিল। এ ঘটনায় গ্রেফতার তিনজন হলেন- মো. ফিরোজ (৩৮), মো. সালাহউদ্দিন প্রকাশ মান্নান (২৮) ও মো. এখলাছ (৩৮)।

তাদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত দু’টি ধারাল দা উদ্ধার করা হয়।

পিবিআই জানিয়েছেন, ফটিকছড়ির কাঞ্চননগর ইউনিয়নের মানিকপুর গ্রামের হলুদ্যাখোলা এলাকায় পাহাড়ি জমি ইজারা নিয়ে ফকির আহাম্মদ একটি কৃষি খামার করেছিলেন। ২০২০ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর নিখোঁজ হন ফকির আহাম্মদ। পরদিন সকালে মানিকপুর সংলগ্ন দুইদ্যাখালে তার গলাকাটা মরদেহ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় তার বাবা এজাহার মিয়া বাদী হয়ে ফটিকছড়ি থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। এরপর চলতি বছরের ২৪ জুন সকালে নিজের কৃষিজমিতে কাজ করতে গিয়ে আর বাড়িতে ফেরেননি এজাহার মিয়া। পরদিন বিকেল তিনটার দিকে তার মরদেহ জমির পাশে একটি বাঁশঝাড়ের নিচে পাওয়া যায়। এ ঘটনায় তার স্ত্রী নাছিমা বেগম বাদী হয়ে ফটিকছড়ি থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। বাবা-ছেলের হত্যার ঘটনা একইসূত্রে গাথা। গ্রেফতার তিনজন জানিয়েছে, পাহাড়ে ইজারার জমির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ফকিরকে খুন করা হয়। পরে তারা এজাহারকেও একই কায়দায় খুন করে।

চট্টগ্রাম জেলার পুলিশ সুপার নাজমুল হাসান বাংলানিউজকে বলেন, বাবা-ছেলের হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করা হয়েছে। জড়িত তিনজনকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। তাদের মধ্যে একজন মো. সালাহউদ্দিন প্রকাশ মান্নান আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। ফিরোজ ও এখলাছকে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করা হলে আদালত দুইজনকে তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।  

বাংলাদেশ সময়: ২১৩৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ২০, ২০২১ 
এমআই/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।