চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়: ‘আর নয় সংঘাত-বিভেদ, গড়ে তুলি সম্প্রীতির ঐকমত্য, পথশিশু দিবসের আহ্বান, শিশুদের সুরক্ষা ও বিকাশে সচেষ্ট হোন’ প্রতিপাদ্যে আন্তর্জাতিক অহিংস দিবস ও জাতীয় সুবিধাবঞ্চিত শিশু দিবসে শিশুদের মাঝে খাবার ও উপহার সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।
শনিবার (২ অক্টোবর) আন্তর্জাতিক অহিংস দিবস উপলক্ষে এ আয়োজন করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় রাঙ্গুনিয়া স্টুডেন্টস ফোরাম।
এ উপলক্ষে অপরাজেয় বাংলাদেশ পরিচালিত শিশুদের নিরাপদ আশ্রয় কেন্দ্রে আলোচনা সভা ও শিক্ষার্থীদের মাঝে উন্নতমানের খাবার ও উপহার সামগ্রী বিতরণ করা হয়।
রাঙ্গুনিয়া স্টুডেন্টস ফোরামের সাধারণ সম্পাদক মিনহাজুর রহমান শিহাবের সঞ্চালনায় ও ফোরামের সভাপতি মোহাম্মদ ইকবাল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উদ্বোধক ছিলেন লায়ন জি এম সাইদুর রহমান মিন্টু।
প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. জিনবোধি ভিক্ষু, প্রধান আলোচক ছিলেন চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিমেল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রাশেদুল আলম, হাটহাজারী সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আশরাফুল আলম সিরাজী, অপরাজেয় বাংলাদেশ নিরাপদ আশ্রয় কেন্দ্রের চট্টগ্রাম জোন ইনচার্জ জিন্নাত আরা বেগম ও রাঙ্গুনিয়া স্টুডেন্টস ফোরামের নেতারা।
অধ্যাপক ড. জিনবোধি ভিক্ষু বলেন, বৈষম্যহীন সমাজ বিনির্মাণে শিশুদের সমঅধিকার নিশ্চিত করা অপরিহার্য। শিশুরা পরবর্তী প্রজন্মের ধারক। কাজেই তাদের যথার্থ বিকাশ ও পরিপূর্ণ মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার দায়িত্ব পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রের। অহিংস মতবাদের প্রবক্তা মহাত্মা গান্ধীর আদর্শে উজ্জীবীত হয়ে বৈষম্যহীন সমাজ বিনির্মাণের লক্ষ্যে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের জন্য সহমর্মিতা ও সমান সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করা জরুরি। কারণ তারাও সমাজের অংশ।
অধ্যাপক ড. রাশেদুল আলম বলেন, সমাজে পিছিয়ে পড়া সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের বিচ্ছিন্ন হিসেবে বিবেচনা না করে বরং তাদেরও সকল ন্যায্য অধিকারের ব্যবস্থা করা প্রয়োজন। তাদের জন্য সমান সুযোগ ও অধিকার নিশ্চিত করা গেলে তারাও দেশপ্রেম ও পরিশ্রমের শিক্ষায় আত্মনির্ভরশীল হয়ে উঠবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩১১ ঘণ্টা, অক্টোবর ০২, ২০২১
এমএ/এসি/টিসি