চট্টগ্রাম: কুমিল্লা ইপিজেডের একটি প্রতিষ্ঠানের ফেব্রিক্স ঘোষণায় চীন থেকে চট্টগ্রাম বন্দরে আসা ১ কোটি ১৩ লাখ শলাকা সিগারেট জব্দ করেছে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস। এ চালানে ২৭ কোটি টাকা রাজস্ব ফাঁকির অপচেষ্টা রুখে দিলেন কাস্টমস কর্মকর্তারা।
বৃহস্পতিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) ২০ ফুট দীর্ঘ দুই কনটেইনার পণ্য কাভার্ডভ্যান থেকে নামিয়ে খোলার পর কাস্টমস কর্মকর্তারা কাপড়ের বদলে পেয়েছেন ৫৬৫টি সিগারেটের কার্টন। এর প্রতিটিতে সিগারেটের দুইটি ইনার কার্টন ছিল।
কাস্টম হাউস সূত্রে জানা গেছে, কুমিল্লা রফতানি প্রক্রিয়াজাতকরণ অঞ্চলের (ইপিজেড) আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ টেক্সটাইল অ্যান্ড কেমিক্যাল ফাইবার ইন্ডাস্ট্রি লিমিটেড চীন থেকে কাপড় ও কাপড়ের সরঞ্জাম ঘোষণায় বন্ড সুবিধার আওতায় দুই কনটেইনার পণ্য আমদানি করে।
গত ১১ সেপ্টেম্বর চীনের সাংহাই বন্দর থেকে কনটেইনার দুইটি চট্টগ্রাম বন্দরে আসলে পণ্য খালাসের লক্ষ্যে গত ১৩ সেপ্টেম্বর আমদানিকারকের পক্ষে সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট আলমগীর অ্যান্ড সন্স লিমিটেড (এআইএন-301143886) কাস্টম হাউসে বিল অব এন্ট্রি (সি-206439) দাখিল করে।
এ চালানের বিষয়ে গোপন সংবাদ থাকায় কাস্টম হাউস চট্টগ্রামের অডিট ইনভেস্টিগেশন অ্যান্ড রিসার্চ (এআইআর) শাখা চালানটি লক করে যাতে খালাস নিতে না পারে। বৃহস্পতিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রাম বন্দরের ভেতরে সি অ্যান্ডএফ এজেন্টের প্রতিনিধি, বন্দর নিরাপত্তা কর্মকর্তা ও অন্যান্য সংস্থার সদস্য ও প্রতিনিধির উপস্থিতিতে এআইআর শাখার কর্মকর্তারা চালানটির শতভাগ কায়িক পরীক্ষা করে।
এআইআর শাখার সহকারী কমিশনার রেজাউল করিম বাংলানিউজকে জানান, পণ্যচালানটিতে শর্তসাপেক্ষে আমদানিযোগ্য ও উচ্চশুল্কের পণ্য সিগারেট আমদানি করে আনুমানিক প্রায় ২৭ কোটি টাকা সরকারি রাজস্ব ফাঁকির অপচেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস প্রশাসনের কঠোর নজরদারি এবং কর্মকর্তাদের নিষ্ঠা ও আন্তরিকতায় এ অপচেষ্টা নস্যাৎ করে দেওয়া সম্ভব হয়েছে। এ ঘটনায় দোষী ব্যক্তিদের দ্রুত চিহ্নিত করে কঠোর ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নির্দেশনা দিয়েছেন চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের কমিশনার মো. ফখরুল আলম।
>> কাপড়ের ঘোষণায় আনা বিদেশি সিগারেটের বড় চালান আটক বন্দরে
বাংলাদেশ সময়: ২০২২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৬, ২০২১
এআর/টিসি