ঢাকা, শুক্রবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

জেলা প্রশাসনের নির্দেশনায় মিনুর ২ সন্তানের দায়িত্ব নিলো কেএসআরএম

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৩২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২১
জেলা প্রশাসনের নির্দেশনায় মিনুর ২ সন্তানের দায়িত্ব নিলো কেএসআরএম ফাইল ছবি

চট্টগ্রাম: অন্যের হয়ে জেল খাটা মিনু আক্তারের দুই সন্তান ইয়াসিন (১২) ও গোলাপের (৯) পড়ালেখা ও ভরনপোষনের দায়িত্ব নিয়েছে ইস্পাত নির্মাণ শিল্পগ্রুপ কেএসআরএম। বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর প্রকাশের পর প্রতিষ্ঠানের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহরিয়ার জাহান রাহাত অনাথ এই দুই সন্তানের দায়িত্ব নেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেন।

 

কেএসআরএমের মিডিয়া অ্যাডভাইজার মিজানুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, কোম্পানির উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহরিয়ার জাহান রাহাতের আগ্রহের কথা ইতোমধ্যে জেলা প্রশাসককে জানানো হয়েছে।

মূলত জেলা প্রশাসকের নির্দেশনা অনুযায়ী কেএসআরএম করণীয় নির্ধারণ করবে।  কেএসআরএম চায় হতাভাগ্য মিনু আক্তারের অনাথ দুই সন্তান যেনো সমাজের নিন্ঠুরতার বলি না হয়। তারা যেনো পৃথিবীর আলো বাতাসে আর দশটা শিশুর মত হেসে খেলে বড় হতে পারে।  

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মো. মমিনুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, মিনু আক্তারের অনাথ দুই সন্তানের সার্বিক দায়িত্ব নিতে চায় কেএসআরএম কোম্পানি।  কোম্পানিকে আমরা কিছু করণীয় নির্ধারণ করে দিবো। সে অনুযায়ী তারা সন্তান দুটির দায়িত্ব নিবেন।  

তিনি বলেন, মিনুর সন্তান দুটি যেনো আর দশটা শিশুর মতো বড় হতে পারে তার সব ব্যবস্থা চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন করবে।  

এ প্রসঙ্গে মিনু আক্তারের আইনজীবী গোলাম মাওলা মুরাদ বাংলানিউজকে বলেন, কেএসআরএমের এমন উদারতা নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবিদার। এর মাধ্যমে মিনুর দুই এতিম ছেলে বেঁচে থাকার নিরাপদ অবলম্বন খুঁজে পেলো। এর চেয়ে খুশির খবর আর কি হতে পারে। আমরা আশা করছি আগামীতে তাদের এমন মহানুভবতা কর্মতৎপরতা অব্যাহত থাকবে।  

প্রসঙ্গত, স্বামী পরিত্যক্ত মিনু আক্তার তার তিন সন্তানের ভরনপোষণের আশ্বাসে অন্যের হয়ে কারাগারে যায়। কথা ছিল অল্পদিনের মধ্যে মুক্তি পাবেন। কিন্তু প্রায় তিন বছর অতিবাহিত হলেও কোনোভাবেই মুক্তি মিলেনা মিনুর। পরে বাংলানিউজে সংবাদ প্রকাশের পর বিষয়টি জানাজানি হয়। এরই প্রেক্ষিতে আইনজীবীসহ কয়েকজন মানুষের প্রচেষ্টায় দীর্ঘ আইনি প্রক্রিয়া শেষে মিনু ১৬ জুন কারাগার থেকে মুক্তি পান। এরমধ্যে নানা অভাব অনটনে মারা যায় মিনুর কন্যসন্তান জান্নাত। কারামুক্তির ১৩ দিনের মাথায় গত ২৮ জুন  রহস্যজনক সড়ক দুর্ঘটনায় জীবন থেকে মুক্তি পান মিনু। কোনো পরিচয় না পাওয়ায় এক দিন পরে অজ্ঞাত হিসেবে তাঁর লাশ দাফন করে আঞ্জুমান মফিদুল ইসলাম। ৩ জুলাই রাতে পুলিশ ও পরিবার নিশ্চিত হয় যে অজ্ঞাত হিসেবে দাফন করা লাশটি মিনুর।  

আরও খবর>>>

এক নারীর সাজা খাটছেন অন্য নারী!

চট্টগ্রামে বদলি জেল খাটা মিনুকে মুক্তির নির্দেশ

মিনুর রহস্যজনক মৃত্যুর পর নিখোঁজ বড় ছেলে

সেই কুলসুমী গ্রেফতার

দেড় লাখ টাকার বিনিময়ে মিনুকে কারাগারে পাঠানো হয়: আদালতে জবানবন্দি

বাংলাদেশ সময়: ২১২০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৩, ২০২১
এমআই/টিসি
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।