ঢাকা, বুধবার, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

স্বাস্থ্যবিধি পালনে উদাসীনতা কেন- জানতে চাইলেন চসিকের শিক্ষা কর্মকর্তা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৪০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১২, ২০২১
স্বাস্থ্যবিধি পালনে উদাসীনতা কেন- জানতে চাইলেন চসিকের শিক্ষা কর্মকর্তা অভিভাবকদের জটলা ছিল চোখে পড়ার মতো। 

চট্টগ্রাম: শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার পর স্বাস্থ্যবিধি পালনে কঠোর অবস্থানে ছিল শিক্ষা বোর্ড ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) শিক্ষা কর্মকর্তারা। এ সময় তারা নগরের বিভিন্ন স্কুল ও কলেজ পরিদর্শন করেন।

প্রায় সব প্রতিষ্ঠানে স্বাস্থ্যবিধি মানা হলেও উদাসীন ছিলেন হাতেগোনা কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।

রোববার (১২ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৮টা থেকে শিক্ষার্থীরা আসতে শুরু করে।

নগরের চকবাজার এলাকার কাপাসগোলা সিটি করপোরেশন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়ে তেমন মনিটরিং ব্যবস্থা ছিল না। অনেককে মাস্ক ছাড়াও আসতে দেখা গেছে। মাস্ক পরলেও তা ছিল থুতনির নিচে। এ ছাড়াও ওই স্কুলের নিচতলায় পানি জমে ছিল। সেগুলো করা হয়নি পরিষ্কার। অভিভাবকদের জটলা ছিল চোখে পড়ার মতো।  

শনিবার (১১ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সামনে অভিভাবকদের জটলা না করতে অনুরোধ জানিয়েছিলেন। এ বিষয়ে প্রতিষ্ঠান প্রধানকে কঠোর হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।  

কিন্তু কাপাসগোলা সিটি করপোরেশন স্কুল অ্যান্ড কলেজে অভিভাবকদের দল পাকিয়ে আড্ডা দিতে দেখা গেলেও স্কুল কর্তৃপক্ষ তাদের কোনো কিছুই বলেনি।  

এসব বিষয় নজরে আসে চসিকের প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা লুৎফুন নাহারের। তিনি প্রতিষ্ঠান প্রধানের কাছে এসব বিষয়ে জানতে চান। কেন অভিভাবকদের জটলা? কেন স্কুলের নিচতলায় পানি জমে আছে? শিক্ষার্থীরা স্বাস্থ্যবিধি পালনে উদাসীন কেন?

লুৎফুন নাহার বাংলানিউজকে বলেন, এসব বিষয় আমার নজরে আসার পর আমি সঙ্গে সঙ্গে সেখানে খবর নিই। দ্রুত সময়ের মধ্যে চোখে পড়া সমস্যাগুলো সমাধানের নির্দেশ দিই।

তারা বলেছেন, একটু বৃষ্টিতে সেখানে পানি জমে যায়। স্কুলের কোমলমতি শিক্ষার্থীদের আনতেই অভিভাবকদের জটলা। তারপরেও তাদের সতর্ক করে দিয়েছি, যাতে কোনোভাবেই স্বাস্থ্যবিধি লঙ্ঘন না হয়। শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী সবার মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক।  

যদি তারা এরপরেও উদাসীনতা দেখায় তাহলে এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।

কাপাসগোলা স্কুলের প্রধান শিক্ষকের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করলেও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।  

বাংলাদেশ সময়: ১৭২০ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১২, ২০২১ 
বিই/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।