ঢাকা, শুক্রবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য, এলাকাবাসীর মানববন্ধন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২১৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৭, ২০২১
ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য, এলাকাবাসীর মানববন্ধন মানবন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ

চট্টগ্রাম: স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অধীনে একটি সড়কের কাজের মান নিয়ে প্রশ্ন তুলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও ভুঁইফোড় অনলাইনে খবর প্রকাশ করা হয়। একে ঘিরে সাতকানিয়া উপজেলার কেওচিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মনির আহমদের বিরুদ্ধে বিভ্রান্তমূলক কথা ছড়ানোর প্রতিবাদে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করেন ইউপি সদস্য, এলাকাবাসী।

সোমবার (৬ আগস্ট) সাতকানিয়ার কেরানীহাট এলাকায় চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের ওপর এ মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।

এলাকাবাসী জানান, সরকার যে অর্থ দিয়েছে, তার দেড় গুণ বেশি অর্থ দিয়ে কাজ করিয়েছে আমাদের চেয়ারম্যান।

কিন্তু কিছু স্বার্থান্বেষী মহল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে কাজের মান নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন। যেটি মোটেও উচিত হয়নি। আবার নামসর্বস্ব পত্রিকার (যার কোনো অনুমোদন নেই) ক্যামেরা নিয়ে এসে মিস্ত্রিদের কাজে বাধা প্রদান করেছে সাংবাদিক পরিচয়দানকারী এক ব্যক্তি। ওইসব ভুঁইফোড়-চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে প্রশাসনের ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। চেয়ারম্যান মহোদয় চাইলে কাজটা চেয়ারম্যান পাড়া সড়কে না করে অন্য জায়গায় করতে পারতেন, কিন্তু তিনি রাস্তার বেহাল অবস্থা দেখে কাজ করার উদ্যোগ নিয়েছেন। যেখানে তিনি প্রশংসা পাওয়ার যোগ্য, সেখানে তাকে হেয়-প্রতিপন্ন করা হচ্ছে।

কেওচিয়া ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান মাহবুব আলমের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন কেরানীহাট প্রগতিশীল ব্যবসায়ী সমিতির সাবেক সভাপতি নুরুন্নবী, সিনিয়র সহ-সভাপতি মোহাম্মদ জাকারিয়া, কেওচিয়া ইউপি সদস্য আবু তালেব শিকদার, আব্দুল মান্নান, সদস্য রোকিয়া বেগম, বুলু আক্তার, শাহাব মিয়া, কামাল উদ্দিন, আব্দুর শুক্কুর, আব্দুর রহিম, কবির প্রমুখ।

প্যানেল চেয়ারম্যান মাহবুব আলম বলেন, কেওচিয়ায় দীর্ঘ এক যুগ ধরে অবহেলিত ছিল চেয়ারম্যান পাড়া সড়ক। কিন্তু সড়কটির উন্নয়নের জন্য কেউ এগিয়ে আসেননি। বর্তমান চেয়ারম্যান মনির আহমদের উদ্যোগে রাস্তা সংস্কারের উদ্দেশ্যে গত ১ সেপ্টেম্বর ঢালাইয়ের কাজ শুরু হয়। তিনি তার কাজ অত্যন্ত সুষ্ঠুভাবে করছিলেন, এমনকি সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী ৫ ইঞ্চি ঢালাই দেয়ার কথা থাকলেও রাস্তার গুরুত্ব বিবেচনা করে চেয়ারম্যান ৮ ইঞ্চি ঢালাই করার উদ্যোগ নেন। সরকারি বরাদ্দের বাইরে তিনি ব্যক্তিগত তহবিল থেকে অর্থ দিয়ে কাজ করছিলেন। যার প্রমাণ জনগণই দেবেন। কিন্তু এতসব করার পর চেয়ারম্যান মহোদয় ভালো কাজের পরিণাম কি এই পেল? আমরা চাই, যারা ষড়যন্ত্র করছে তাদের চিহ্নিত করে দ্রুত আইনের আওতায় আনা হোক। একই সঙ্গে নামসর্বস্ব পত্রিকার বিরুদ্ধে সরকারের কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করার অনুরোধ জানাচ্ছি।

বাংলাদেশ সময়: ১১৫৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৬, ২০২১
বিই/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।