ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

তথ্য প্রতিমন্ত্রীর বক্তব্য প্রত্যাহার ও ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান বিএনপির

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৫৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৬, ২০২১
তথ্য প্রতিমন্ত্রীর বক্তব্য প্রত্যাহার ও ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান বিএনপির বিএনপি

চট্টগ্রাম: বেগম খালেদা জিয়া, তারেক রহমান ও জিয়াউর রহমান সম্পর্কে তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানের বক্তব্যের প্রতিবাদ এবং এ বক্তব্য প্রত্যাহার করে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি।

সোমবার (৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন ও সদস্যসচিব আবুল হাশেম বক্কর এক বিবৃতিতে এ আহ্বান জানান।

 

তারা বলেন, আওয়ামী লীগ নেতারা আজ কেন শহীদ জিয়া, খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে নিয়ে কথা বলছে? কারণ তারা দেউলিয়া হয়ে গেছে। আজ বিষয় হচ্ছে করোনার টিকায় অনিয়ম, নির্যাতন, দুঃশাসন, লুটপাট ও বিদেশে অর্থ পাচার।

টিকা নিয়ে চলছে ধোঁকাবাজি। চার ভাগ মানুষকেও এখনো টিকার আওতায় আনতে পারেনি। হাজার কোটি টাকা বিলি করলেও তা পেয়েছেন ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা। এসব লুটপাটের ঘটনা থেকে অন্যদিকে দৃষ্টি ফেরাতেই অপ্রাসঙ্গিক বিষয়গুলো সামনে নিয়ে আসছে।

প্রধানমন্ত্রীর গুডবুকে থাকার জন্যই মন্ত্রীরা শহীদ জিয়াকে নিয়ে পাগলের প্রলাপ বকছেন। তাদের মতো লোকদের একমাত্র কাজ হচ্ছে মিথ্যাচার, বিষোদগার, চরিত্রহনন ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতি। ভোট চোর ও জনগণের আমানত লুণ্ঠনকারী তথাকথিত মন্ত্রী পদবিধারী ব্যক্তিরা জিয়া ও জিয়া পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে কুরুচিপূর্ণ ভাষায় বিষোদগার করে মন্ত্রিত্ব টিকিয়ে রাখতে পারলেও জনগণের কাছে গণধিকৃত এবং ইতিহাসের ডাস্টবিনের কীটে পরিণত হবেন। সময় বেশি দূরে নয় এসব মন্ত্রী দেশ ছেড়ে পালানোর পথ পাবে না।

বেগম জিয়া চলচ্চিত্র নায়িকা হতে চেয়েছিলেন- প্রতিমন্ত্রীর এমন বক্তব্যে বিএনপি নেতারা জানতে চান, প্রতিমন্ত্রীর বয়স তো এখন মাত্র ৪৫-৫০ হবে। তিনি নয় সম্ভবত উনার পিতা বা পিতামহ কেউ বেগম জিয়ার বাবার ঘরে গৃহভৃত্য হিসেবে কাজ করতেন। তা না হলে বেগম জিয়ার এ বিষয়টি অন্য কেউ নয়, তিনি জানলেন কী ভাবে? বিএনপির নেতা-কর্মীদের তিনি বিএনপির দালাল হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। বিএনপি করলে যদি বিএনপির দালাল হয় তাহলে তিনি (মন্ত্রী) আওয়ামী লীগ করেন, তাহলে তিনিও (মন্ত্রী) আওয়ামী লীগের দালাল।

বিএনপি নেতারা বলেন,  বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ছিলেন বাংলাদেশের উন্নয়নের প্রতীক। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান হচ্ছেন দেশের স্বাধীনতা প্রিয় ও গণতন্ত্রকামী মানুষের একমাত্র নেতা। তাই জনগণের অর্থ লুণ্ঠনকারীরা প্রতিদিন বিএনপিকে নিয়ে দুঃস্বপ্ন দেখে। খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের নাম শুনলে বাঘের মতো ভয় পায়। তাই তারা প্রতিনিয়ত নিজেদের ভয় তাড়াতে শহীদ জিয়া, খালেদা জিয়া ও তারেক জিয়ার নামে জিকির তোলে।  

বিএনপি নেতারা তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রীকে অবিলম্বে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য প্রত্যাহার করে ‘স্বাধীনতার ঘোষক’ জিয়াউর রহমান সম্পর্কে জানতে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময়ে প্রবাসী সরকারের প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদের ডায়েরি পাঠ করে ইতিহাস জানার অনুরোধ জানান।

>>  বেগম জিয়ার চিত্রনায়িকা হওয়ার কথা ছিল: ডা. মুরাদ হাসান

বাংলাদেশ সময়: ২১৪০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৬, ২০২১
এমআই/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।