ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

‘বাংলাদেশ ও ইন্দোনেশিয়া বাণিজ্য সম্প্রসারণে একসঙ্গে কাজ করতে পারে’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮১১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৫, ২০২১
‘বাংলাদেশ ও ইন্দোনেশিয়া বাণিজ্য সম্প্রসারণে একসঙ্গে কাজ করতে পারে’ ইন্দোনেশিয়ার চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্সের সঙ্গে চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম ও সিনিয়র সহ-সভাপতি তরফদার মো. রুহুল আমিন

চট্টগ্রাম: ইন্দোনেশিয়ার চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স হিদায়াত আইজাহ করোনাকালীন বাংলাদেশের অর্থনীতি ও মহামারি মোকাবেলায় বর্তমান সরকারের ভূয়সী প্রশংসা করে বলেছেন, বাংলাদেশ ও চীন যৌথ উদ্যোগে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন তৈরি প্রমাণ করে বাংলাদেশ এ অঞ্চলের অর্থনীতির সুপার পাওয়ার হতে যাচ্ছে।  

তিনি করোনা মোকাবেলায় ইন্দোনেশিয়ার সরকারকে ওষুধ ও চিকিৎসাসামগ্রী দেওয়ায় বাংলাদেশ সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়ে উভয় দেশ ব্যবসা ও বাণিজ্য সম্প্রসারণে একসঙ্গে কাজ করতে পারে বলে মন্তব্য করেন।

 

রোববার (৫ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশে নিযুক্ত ইন্দোনেশিয়ার চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স হিদায়াত আতজেহ চট্টগ্রাম চেম্বারের পরিচালকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন।  
তিনি বাণিজ্য ঘাটতি নিরসনে পারস্পরিক সম্ভাবনাগুলো উন্মোচন করা এবং এ লক্ষ্যে বাংলাদেশ ও ইন্দোনেশিয়া দ্রুত প্রেফারেন্সিয়াল ট্রেড অ্যাগ্রিমেন্ট (পিটিএ) স্বাক্ষর করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স দুই দেশের ব্যবসায়ীদের মধ্যে পারস্পরিক তথ্য আদান-প্রদান এবং সম্পর্কোন্নয়নে চেম্বারের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন।  

আগ্রাবাদের ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম, সিনিয়র সহ-সভাপতি তরফদার মো. রুহুল আমিন, সহ-সভাপতি সৈয়দ মোহাম্মদ তানভীর, পরিচালক মো. অহীদ সিরাজ চৌধুরী (স্বপন), জহিরুল ইসলাম চৌধুরী (আলমগীর), মো. সিরাজুল ইসলাম, অঞ্জন শেখর দাশ, শাহজাদা মো. ফৌজুল আলেফ খান, ইঞ্জিনিয়ার ইফতেখার হোসেন, মো. ইফতেখার ফয়সাল ও তানভীর মোস্তফা চৌধুরী, দূতাবাসের থার্ড সেক্রেটারি সপ্তা এন. দনঞ্জয় উপস্থিত ছিলেন।  

চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম বাংলাদেশ ও ইন্দোনেশিয়ার মধ্যে ঐতিহাসিক ভ্রাতৃপ্রতিম চমৎকার সম্পর্কের কথা তুলে ধরে বলেন, অমিত সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও উভয় দেশের ব্যবসা ও বিনিয়োগ কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছেনি।  

তিনি পারস্পরিক সম্পর্কোন্নয়নে দুই দেশের ব্যবসায়ীদের মধ্যে মেলবন্ধন তথা বেসরকারি খাতের উন্নয়নের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।  
চেম্বার সভাপতি বাণিজ্য সম্প্রসারণে যোগাযোগ ব্যবস্থার প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করে চট্টগ্রাম-ঢাকা-জার্কাতা অথবা ঢাকা-চট্টগ্রাম-জার্কাতা সরাসরি ফ্লাইট চালু করতে দূতাবাসের উদ্যোগ কামনা করেন।  

বর্তমান সরকারের প্রস্তাবিত ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল বিশেষ করে চট্টগ্রামের অর্থনৈতিক অঞ্চল বঙ্গবন্ধু শিল্পনগরে ইন্দোনেশিয়ান যৌথ বা একক বিনিয়োগ প্রত্যাশা করেন তিনি।    

চেম্বার সিনিয়র সহ-সভাপতি তরফদার মো. রুহুল আমিন বলেন, উচ্চ শুল্ক আরোপের কারণে ইন্দোনেশিয়ায় রফতানি পণ্য বাধার সম্মুখীন হচ্ছে।  
তিনি উভয় দেশের বাণিজ্যঘাটতি নিরসনে ইন্দোনেশিয়ার কর কাঠামো পরিবর্তনের প্রসঙ্গে উল্লেখ করে কর যৌক্তিক করার আহ্বান জানান এবং ব্যবসায়িক বাধা দূরীকরণে চেম্বারের পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দেন।

চেম্বার সহ-সভাপতি সৈয়দ মোহাম্মদ তানভীর চট্টগ্রাম চেম্বারকে দেশের ঐতিহ্যবাহী এবং অন্যতম শীর্ষস্থানীয় চেম্বার উল্লেখ করে বলেন, ইন্দোনেশিয়ার পণ্যের ডিউটি বেশি। তা আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করে ইন্দোনেশিয়ান ব্যবসায়ীরা চট্টগ্রাম চেম্বার আয়োজিত চট্টগ্রাম আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় (সিআইটিএফ) অংশগ্রহণ করে তাদের উৎপাদিত পণ্যের প্রচার করতে পারেন।  

দূতাবাসের থার্ড সেক্রেটারি সপ্তা এন. দনঞ্জয় পিটিএ চুক্তি সম্পাদনের মাধ্যমে শুল্ক সংক্রান্ত সমস্যার সমাধান ও বাণিজ্যঘাটতি নিরসন হবে বলে মন্তব্য করেন।  
মতবিনিময় শেষে চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের পারমানেন্ট এক্সিবিশন হল পরিদর্শন করেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৮১০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৫, ২০২১
এআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।