চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেছেন, শেখ ফজিলাতুন নেছা বঙ্গবন্ধুর আদর্শিক সহচর এবং সকল শুভকর্মের মন্ত্রণাদাত্রী। বঙ্গবন্ধু যখনই কোনও রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তখন তিনি ছিলেন একজন পরামর্শক।
রোববার (৮ আগস্ট) সকালে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে দারুল ফজল মার্কেটের দলীয় কার্যালয়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহধর্মিণী বঙ্গমাতা শহীদ শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবের ৯১তম জন্মবার্ষিকীর সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ৭ মার্চের ভাষণ কিভাবে দেবেন এবং কি বলবেন সে ব্যাপারে অনড় ও অটল থাকতে বঙ্গবন্ধুকে তাড়িত করেছিলেন বেগম মুজিব।
এ উপলক্ষে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে খতমে কোরআন, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী বলেন, শহীদ শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব ত্যাগ, শৃঙ্খলা ও কর্তব্যনিষ্ঠার প্রতীক। তিনি আওয়ামী লীগের কঠিন দুঃসময়ে কারান্তরীণ বঙ্গবন্ধুর অনুপস্থিতিতে সংসারের হাল ধরে সন্তানদের মানুষ করার পাশাপাশি দলীয় নেতাকর্মীদের মাঝে সাহস ও প্রেরণা যুগিয়েছিলেন। তাই তিনি একজন মমতাময়ী নারীই শুধু নন, দুঃশাসনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সাহসী সম্মুখযোদ্ধা এবং বাঙালির সকল অর্জনের নেপথ্যের অগ্রসারথী।
আলোচনা সভার শুরুতে শহীদ শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নোমান আল মাহমুদের সঞ্চালনায় সভায় উপস্থিত ছিলেন অ্যাডভোকেট ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, খোরশেদ আলম সুজন, আলতাফ হোসেন চৌধুরী বাচ্চু, শফর আলী, শেখ মো. ইছহাক, শফিক আদনান, শফিকুল ইসলাম ফারুক, হাসান মাহমুদ শমসের, অ্যাডভোকেট শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী, চন্দন ধর, মশিউর রহমান চৌধুরী, হাজী মো. হোসেন, হাজী জহুর আহমদ, দিদারুল আলম চৌধুরী, আবদুর আহাদ, শহীদুল আলম, বখতিয়ার উদ্দিন খান, ইঞ্জিনিয়ার বিজয় কিষাণ চৌধুরী, সাইফুদ্দিন খালেদ বাহার, হাজী বেলাল আহমেদ।
মিলাদ মাহফিল ও মুনাজাত পরিচালনা করেন ফজল আহমেদ।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫০ ঘণ্টা, আগস্ট ০৮, ২০২১
এসি/টিসি