চট্টগ্রাম: চট্টগ্রামে মোট করোনা সংক্রমণের ৩৯ দশমিক ৪৭ শতাংশই শনাক্ত হয়েছে গত জুলাই মাসে। এই মাসে শনাক্ত হয় ২৩ হাজার ১৯৫ জন।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে দেখা যায়, গত জুলাই মাসে মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয় ৬৭ হাজার ৯১০টি। এর মধ্যে আক্রান্ত হয়েছেন ২৩ হাজার ১৯৫ জন। এছাড়া মৃত্যুবরণ করেছেন ২৬১ জন। গত ৩০ জুলাই সবচেয়ে বেশি করোনা শনাক্ত হয় চট্টগ্রামে। এইদিন শনাক্ত হয় ১ হাজার ৪৬৬ জন। অন্যদিকে গত ২৭ জুলাই সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয় চট্টগ্রামে। এইদিন মৃত্যুবরণ করেন ১৮ জন।
দফায় দফায় লকডাউন উঠিয়ে মানুষের চলাচলের সুযোগ তৈরি করা এবং মানুষের মধ্যে অসচেতনতা সংক্রণের হার বাড়ার পিছনে কারণ বলছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।
করোনা চিকিৎসায় নিয়োজিত চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের জুনিয়র কনসালটেন্ট মো. হামিদুল্লাহ মেহেদি বাংলানিউজকে বলেন, করোনার ডেলটা ভেরিয়েন্টের কারণে সংক্রমণ বেশি ছড়াচ্ছে। প্রায় সব হাসপাতালেই রোগীর সংখ্যা দ্বিগুণ। বয়স্ক রোগীদের শরীরে করোনার সংক্রমণ পাওয়া গেলে কোনোভাবেই অবহেলা করা যাবে না। কারণ যে কোনো সময় অবস্থার পরিবর্তন ঘটতে পারে। তাই যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।
সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি বাংলানিউজকে বলেন, করোনা প্রতিরোধে জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্যবিভাগ বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। তবে সবকিছুর ঊর্ধ্বে দরকার ব্যক্তি সচেতনতা। স্বাস্থ্যবিধি মেনে না চললে সংক্রমণের লাগাম টানা কষ্টসাধ্য হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১২৪৩ ঘণ্টা, জুলাই ০৪, ২০২১
এমএম/এসি/টিসি