ঢাকা, শুক্রবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

চসিকের প্রতি ওয়ার্ডে ৩টি বুথে দিনে ৬০০ ডোজ টিকা দেওয়া হবে 

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬২৭ ঘণ্টা, আগস্ট ২, ২০২১
চসিকের প্রতি ওয়ার্ডে ৩টি বুথে দিনে ৬০০ ডোজ টিকা দেওয়া হবে  বক্তব্য দেন চসিক মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী

চট্টগ্রাম: শনিবার (৭ আগস্ট) থেকে ছয় দিনে নগরের ৪১টি ওয়ার্ডে প্রতিদিন ৬০০ ডোজ করে মর্ডানা কোভিড-১৯ টিকা প্রয়োগের ঘোষণা দিয়ে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেছেন, সরকার সামর্থ্য ও সক্ষমতার সর্বশক্তি দিয়ে কোডিভ-১৯ সংক্রমণ রোধে টিকা সর্বসাধারণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে পেরেছে। এর আওতায় নগরে ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে যোগ্য বা আগ্রহী কেউ বাদ পড়বে না।

কোভিড-১৯ সংক্রমণ ও মৃত্যুর ঊর্ধ্বগতির মধ্যে এটা শুভ ও স্বস্তিদায়ক বার্তা।  

রোববার (২ আগস্ট) সকালে থিয়েটার ইনস্টিটিউট চট্টগ্রাম (টিআইসি) মিলনায়তনে মর্ডানা (কোভিড-১৯) ভ্যাকসিন গ্রহণ ও প্রয়োগ সম্পর্কিত অবহিতকরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র এসব কথা বলেন।

 

তিনি ভ্যাক্সিনেশন ক্যাম্পেইনের প্রায়োগিক কর্মপদ্ধতি তুলে ধরে বলেন, প্রতিটি ওয়ার্ডে তিনটি করে বুথে প্রতিদিন ২০০ করে কমপক্ষে ৬০০ ডোজ টিকা দেওয়া হবে। প্রতিটি বুথে ২ জন প্রশিক্ষিত ভ্যাক্সিনেটর ও ৩ জন স্বেচ্ছাসেবক থাকবেন। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পর্যায়ক্রমে সিনিয়র সিটিজেন, নিবন্ধনকৃত নাগরিক, আবেদনকৃত নাগরিক ও কাউন্সিলরদের কাছে নিবন্ধনের জন্য আবেদনকারীরা টিকা নিতে পারবেন। সোমবার থেকে ওয়ার্ডের কাউন্সিলরের কাছে সরবরাহ করা ফরমে যে-কেউ আবেদন করতে পারবেন।  

মেয়র কাউন্সিলরদের উদ্দেশে বলেন, ভ্যাক্সিনেশন ক্যাম্পেইন কার্যক্রমে কাউন্সিলরদের ভূমিকা অতীব গুরুত্বপূর্ণ। কারণ তারা এলাকাবাসীর ভালো-মন্দ ও সুবিধা-অসুবিধার সঙ্গে সরাসরি যুক্ত। ভ্যাক্সিনেশন ক্যাম্পেইনিং কার্যক্রম সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে তাদের জন্য একটা বড় ধরনের সুযোগ। তারা এলাকাবাসীর ভোটে নির্বাচিত স্থানীয় জনপ্রতিনিধি হিসেবে এ কাজটি ভালো ভাবে সম্পাদন করতে পারলে সবার বিশ্বাস ও আস্থাভাজন হতে পারবেন। চসিক নগরীতে প্রথম পর্যায়ে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে টিকা প্রদানের লক্ষ্যমাত্রা সফলভাবে পূরণ করতে পেরেছে। কোরবানির ঈদের পশুর বর্জ্য ১২ ঘণ্টার মধ্যে অপসারণ ও ডাম্পিং করে নগরের স্বাস্থ্যবান্ধব পরিবেশ সুরক্ষার সুনাম অক্ষুণ্ন রেখেছে। এ অর্জন সম্ভব হয়েছে কাউন্সিলরদের সর্বাত্মক সহযোগিতা ও অবদানের জন্য।  

তিনি বলেন, কোভিড-১৯ সংক্রমণ হারের ঊর্ধ্বগতির পাশাপাশি ডেঙ্গু ও চিকনগুনিয়া বিস্তারের উপদ্রব দেখা দিয়েছে। তবে এর বিস্তার ঢাকার মতো এখনো প্রকট না হলেও এখন থেকে তা প্রতিরোধে সতর্ক হতে হবে। নগরের কোথাও, বাসা-বাড়ি, খোলা জায়গায় পরিষ্কার পানি যাতে জমতে না পারে সে দিকে কাউন্সিলদের দেখভাল ও তদারকি করতে হবে।  

তিনি মশকনিধন কার্যক্রম চলমান রয়েছে উল্লেখ করে বলেন, এ ক্ষেত্রে ছিটানো ওষুধের কার্যকারিতা নিয়ে সংশয় ও সরঞ্জামগত অপ্রতুলতা থাকলেও সামর্থ্য অনুযায়ী সবকিছু করা হচ্ছে। মশার ওষুধের কার্যকারিতা যাচাই-বাছাইয়ে চবি’র প্রাণ রসায়ন, অনুপ্রাণ বিজ্ঞান, উদ্ভিদবিজ্ঞান, ভূগোল ও পরিবেশবিদ্যা বিভাগের বিশেষজ্ঞদের একটি টিমের গবেষণা প্রতিবেদন মঙ্গলবার আমাদের কাছে আসবে। এর ভিত্তিতে মশক নিধনে ৩০ দিনের ক্রাশ প্রোগ্রাম শুরু করা হবে।  

স্বাস্থ্য স্ট্যান্ডিং কমিটির সভপতি কাউন্সিলর জহর লাল হাজারীর সভাপতিত্বে ও প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সেলিম আকতার চৌধুরীর সঞ্চালনায় সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন চসিক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহীদুল আলম। সভায় ক্যাম্পেন প্রেজেনটেশন উপস্থাপন করেন ডা. সরওয়ার আলম। সভায় ওয়ার্ড কাউন্সিলর, সংরক্ষিত কাউন্সিলর, বিভাগীয় প্রধান ও কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।  

বাংলাদেশ সময়: ১৬২৫ ঘণ্টা,  আগস্ট ০২, ২০২১
এআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।