ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

পাহাড় থেকে সরে আসা মানুষকে খাদ্য সহায়তা দিলো জেলা প্রশাসন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫০৪ ঘণ্টা, জুলাই ২৮, ২০২১
পাহাড় থেকে সরে আসা মানুষকে খাদ্য সহায়তা দিলো জেলা প্রশাসন ছবি: উজ্জ্বল ধর

চট্টগ্রাম: পাহাড়ে ঝুঁকি নিয়ে বসবাসরতদের সরিয়ে নগরের বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে স্থানান্তর করেছে জেলা প্রশাসন। এছাড়াও তাদের জন্য খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

মজুদ রাখা হয়েছে পর্যাপ্ত খাবার।

তিনদিন ধরে চট্টগ্রামে প্রবল বৃষ্টিপাত হওয়ায় বুধবার (২৮ জুলাই) সকাল থেকে বাটালি হিল, মতিঝর্ণা, আকবরশাহ, হিল-১, হিল-২, লিংক রোড পাহাড়ি এলাকায় বসবাসরত মানুষকে ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড় থেকে সরিয়ে আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে আসেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) নাজমুল আহসানের নেতৃত্বে নগরের ৬ জন সহকারী কমিশনার (ভূমি)।

জানা গেছে, নগরের ৯২টি পরিবারের প্রায় ৩১০ জনকে ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড় থেকে আশ্রয়কেন্দ্রে আনা হয়েছে। আল হেরা মাদ্রাসা, রউফাবাদ রশিদিয়া মাদ্রাসা, ফিরোজ শাহ প্রাথমিক বিদ্যালয়, লালখান বাজার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তাদের স্থানান্তর করা হয়েছে। পাশাপাশি ২০টি ঝুঁকিপূর্ণ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, আশ্রয়কেন্দ্রে আনা পরিবারগুলোকে খাদ্য সহায়তার পাশাপাশি প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। বুধবার (২৮ জুলাই) দুপুরে ভুনা খিচুড়ি ও ডিম সরবরাহ করা হয়েছে। রাতের খাবারের ব্যাবস্থাও করা হচ্ছে। মাইকিং চলমান রয়েছে। পর্যাপ্ত খাদ্য মজুদ আছে। চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা ও স্বেচ্ছাসেবকরা ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় বসবাসরত মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে আনার কাজ এখনো অব্যাহত রেখেছেন।

পাহাড় ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য সচিব ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) নাজমুল আহসান বাংলানিউজকে বলেন, পাহাড়ে ঝুঁকি নিয়ে বসবাসরত ৯২ পরিবারকে রাতের মধ্যেই আমরা ৩টি আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে আসি। পরে নগরের ফিরোজ শাহ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১০৫ জনকে আনা হয়। রাতেও তাদের খাবারের ব্যবস্থা করা হয়। সকালে ও দুপুরে একই ব্যবস্থা করা হয়েছে। আমাদের পর্যাপ্ত খাবার মজুদ রয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫০০ ঘণ্টা, জুলাই ২৮, ২০২১
এমএম/এসি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।