চট্টগ্রাম: পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যুরোধে সাঁতার শেখানোর পাশাপাশি অভিভাবকদের সচেতন থাকতে হবে এবং ঝুঁকিপূর্ণ পুকুর পাড় ও ঘাটে বেড়া দিতে হবে। কারণ সাঁতার শেখার বয়সের আগেই অনেক শিশু পানিতে ডুবে মারা যাচ্ছে।
বিশ্ব পানিতে ডুবে শিশু মৃত্যু প্রতিরোধ দিবসে রোববার (২৫ জুলাই) রাতে চট্টগ্রামে আয়োজিত এক অনলাইন আলোচনায় এ তাগিদ দেওয়া হয়।
আগামী সোস্যাল ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন ও চট্টগ্রাম ইনডিপেনডেন্ট ইউনির্ভাসিটি-আমেরিকান কর্নার আয়োজিত আলোচনায় মূল বক্তব্য তুলে ধরেন ইন্টারন্যাশনাল ড্রাউনিং রিসার্চ সেন্টার, বাংলাদেশের পরিচালক ডক্টর আমিনুর রহমান।
সাংবাদিক আলমগীর সবুজের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্যানেল আলোচক ছিলেন গ্লোবাল হেলথ অ্যাডভোকেসি ইনকুভেটরের কান্ট্রি কমিউনিক্যাশন ম্যানেজার সারওয়ার ই আলম, বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা সমষ্টির পরিচালক মীর মাসরুর জামান, ইপসার প্রধান নির্বাহী আরিফুর রহমান।
আলোচনায় অংশ নেন সিনিয়র সাংবাদিক জসিম চৌধুরী সবুজ, দৈনিক আজাদীর প্রধান প্রতিবেদক হাসান আকবর, অধ্যাপক শামসুদ্দিন শিশির, অধ্যাপক সারোয়াৎ নাজনীন, শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ সুশান্ত বড়ুয়া, বেরকারি গণগ্রন্থাগার সমিতি চট্টগ্রামের বিভাগীয় সমিতির সভাপতি আইনজীবী নাজমুল হক সিকদার, রিডার্স স্কুল অ্যান্ড কলেজের চেয়ারম্যান মঈনুদ্দিন কাদের লাভলু, ইনডিপেন্ডেন্ট টিভি চট্টগ্রাম ব্যুরো চিফ অনুপম শীল, তায়াকোয়ান্ডো ফেডারেশন চট্টগ্রামের যুগ্ম সম্পাদক সুমন দে, সাংবাদিক কামরুল ইসলাম বাবু, উন্নয়নকর্মী সানজিদা আক্তার।
আলোচনায় পানিতে ডুবে শিশুমৃত্যুকে হত্যাকাণ্ড আখ্যায়িত করে বলা হয়, দ্রুত এর প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা না নিলে মৃত্যুর মিছিল বাড়তেই থাকবে। তাই শিশুদের সাঁতার শেখানো নিশ্চিত করতে হবে। এজন্য সরকারি বেসরকারি উদ্যোগ এবং এটা নিয়ে যারা কাজ করে সব পক্ষকে এগিয়ে আসতে হবে।
সাঁতার শেখার বয়সের আগেই অনেক শিশুর পানিতে ডুবে মৃত্যু নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে এর জন্য অভিভাবকদের সচেতন করার বিভিন্ন পন্থা নিয়ে কাজ করতে বলা হয়। পাশাপাশি অরক্ষিত পুকুরে বেড়া দিয়ে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করতে একটি সমন্বিত উদ্যোগ নেওয়ার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৫ ঘণ্টা, জুলাই ২৬, ২০২১
এআর/টিসি