ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

অধ্যাপক ড. ভূঁইয়া ইকবালের মৃত্যুতে ইডিইউর শোক

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২২৮ ঘণ্টা, জুলাই ২৩, ২০২১
অধ্যাপক ড. ভূঁইয়া ইকবালের মৃত্যুতে ইডিইউর শোক ড. ভূঁইয়া ইকবাল।

চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) বাংলা বিভাগের প্রাক্তন অধ্যাপক, বাংলা একাডেমি পুরস্কারপ্রাপ্ত গবেষক ড. ভূঁইয়া ইকবাল এর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটির (ইডিইউ) প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান, প্রাক্তন মন্ত্রী আবদুল্লাহ আল নোমান, প্রতিষ্ঠাতা ভাইস চেয়ারম্যান সাঈদ আল নোমান এবং উপাচার্য অধ্যাপক মু. সিকান্দার খানসহ পুরো বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার।

করোনা আক্রান্ত হয়ে বিভিন্ন শারীরিক জটিলতায় ভুগে বৃহস্পতিবার (২২ জুলাই) ভোর ৬টার দিকে ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

 

শোক বার্তায় তারা বলেন, বাংলাদেশের বুদ্ধিবৃত্তিক জগতের অন্যতম অভিভাবক ছিলেন ড. ভূঁইয়া ইকবাল। তার এ শূন্যতা কেবল বাংলাদেশের নয়, পুরো উপমহাদেশেরই অপূরণীয় ক্ষতি।

বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে তার গবেষণা এ পৃথিবীর জন্য অমূল্য সম্পদ। বিশেষত বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে নিয়ে তার গবেষণা দুই বাংলাতেই সমানভাবে সমাদৃত। ব্যক্তিজীবনে স্বল্পভাষী ড. ইকবাল কর্মপ্রাণ মানুষ ছিলেন। জ্ঞানক্ষেত্রে তার অবদান কোনোদিন ভুলবার নয়।

উল্লেখ, তিনি সম্পর্কে ইডিইউর উপাচার্যের বেয়াই। মরহুমের স্ত্রী অধ্যাপক লায়লা জামানও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক।

ভূঁইয়া ইকবাল ১৯৪৬ সালের ২২ নভেম্বর ভোলায় জন্মগ্রহণ করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর শেষে ১৯৮৪ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি অর্জন করেন। কর্মজীবনে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে যোগদান করেন। অধ্যাপনার পাশাপাশি তিনি গবেষণা ও সম্পাদনা করেন।  

তার অন্যতম গ্রন্থ ‘বাংলাদেশে রবীন্দ্র-সংবর্ধনা’, ‘রবীন্দ্রনাথ ও মুসলমান সমাজ’, ‘পূর্ববঙ্গে রবীন্দ্র-বক্তৃতা’, ‘মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়’, ‘শামসুর রাহমান: নির্জনতা থেকে জনারণ্যে’, ‘আনিসুজ্জামান: সমাজ ও সংস্কৃতি’। অধ্যাপক ভূঁইয়া ইকবাল প্রবন্ধে বিশেষ ভূমিকা রাখার জন্য ২০১৪ সালে বাংলা একাডেমি পুরস্কার লাভ করেন।

বাংলাদেশ সময়: ১২২৩ ঘণ্টা, জুলাই ২৩, ২০২১
এসি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।