ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

চট্টগ্রামে ঈদের দ্বিতীয় দিনেও পশু কোরবানি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১০৪ ঘণ্টা, জুলাই ২২, ২০২১
চট্টগ্রামে ঈদের দ্বিতীয় দিনেও পশু কোরবানি ছবি: উজ্জ্বল ধর

চট্টগ্রাম: ঈদের দ্বিতীয় দিনেও চট্টগ্রামের পাড়া-মহল্লায় গরু ও ছাগল কোরবানি দেওয়া হয়েছে। কোরবানিদাতারা জানিয়েছেন, পেশাদার কসাই না পাওয়ায় ঈদের দিন তারা কোরবানি দিতে পারেননি।

বৃহস্পতিবার (২২ জুলাই) নগরের বিভিন্ন এলাকায় রাস্তার পাশে কোরবানি দিতে দেখা গেছে।

এনায়েত বাজার এলাকার বাসিন্দা সামছুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, ঈদের দিন কসাই পাওয়া যায় না।

পেলেও তাদের চাহিদা বেশি থাকে। একজন কসাইকে নিয়ে অনেকের টানাটানি। তাই ঈদের দ্বিতীয় দিন কোরবানি দিয়েছি।  

লাভলেইন এলাকার বাসিন্দা মিনহাজ কাদের বাংলানিউজকে বলেন, প্রথম দিন কোরবানি দিতে পারিনি। দ্বিতীয় দিন এলাকার ৫ জনের ৫টি গরু কোরবানি দেওয়া হয়েছে। মৌসুমি কসাই দিয়ে গরু কোরবানি দিতে গেলে অনেক ঝামেলা হয়।

একই কথা জানালেন ষোলশহরের বাসিন্দা নাজমুল আহসান। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, গত বছর ঈদের দিন কোরবানি দিয়েছিলাম। পেশাদার কসাইও পেয়েছিলাম। এবার আত্মীয় স্বজন ও প্রতিবেশীদের নিয়ে দ্বিতীয় দিন ৬টি গরু ও ২টি ছাগল কোরবানি দিয়েছি।

এদিকে ঈদের পরদিন কসাইদের চাহিদাও কমেছে। ঈদের দিন গরু প্রতি হাজারে ১৫০ থেকে ২০০ টাকা নেওয়া হয়। দ্বিতীয় দিন নেওয়া হয় ১০০ থেকে ১৫০ টাকা।

মুরাদপুরের কসাই আবদুল হাকিম বাংলানিউজকে বলেন, গরু জবাই ও কাটাকাটি করতে পশুর দামের ওপর প্রতি হাজারে ১৫০ টাকা নেওয়া হয়। গরু জবাই থেকে শুরু করে চামড়া ছাড়ানো, হাড় থেকে মাংস ছাড়িয়ে তা ছোট করে কাটা, হাড়গুলো ছোট ছোট করে কেটে দেওয়া, নাড়িভুঁড়ি পরিষ্কারসহ সব কাজ করে দেন তারা।  

আগ্রাবাদের কসাই মন্টু মিয়া বাংলানিউজকে বলেন, ঈদের দিন কাজের চাপ বেশি থাকে। সেই তুলনায় দ্বিতীয় দিন চাপ কম। তিন থেকে চার মণ ওজনের গরু জবাইয়ের পর মাংস কাটতে দুইজন কসাই দরকার, সময় লাগে এক থেকে দেড় ঘণ্টা।

ঈদুল আজহার দিন সন্ধ্যা ৭টার মধ্যে নগরের কোরবানির পশুর ৮০ শতাংশ বর্জ্য অপসারণ করে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্ন কর্মীরা।

বর্জ্য অপসারণ স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতি কাউন্সিলর মোবারক আলী জানান, নগরকে চারটি জোনে ভাগ করে চারজন কাউন্সিলরের নেতৃত্বে বর্জ্য অপসারণের লক্ষ্যে ঈদের দিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত একটানা কাজ চলে। আমাদের লক্ষ্য ছিল ৭ হাজার ৫০০ টন আবর্জনা অপসারণ করা। তবে এবার কোরবানি কম হওয়ায় পাঁচ থেকে সাড়ে পাঁচ হাজার টন বর্জ্য অপসারণ করা হয়েছে।  

চসিক মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, ১০ ঘণ্টার মধ্যে বর্জ্য অপসারণের ঘোষণা বাস্তবায়নে স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান, জোনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কাউন্সিলর, পরিচ্ছন্নতা বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও সেবকরা মাঠে ছিল। প্রধান সড়কে কোনো বর্জ্য নেই। দ্বিতীয় দিনও কিছু কোরবানি হচ্ছে। এসব বর্জ্যও দ্রুত অপসারণ করা হবে।  

বাংলাদেশ সময়: ১০৫৮ ঘণ্টা, জুলাই ২২, ২০২১
এসি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad