ঢাকা, শনিবার, ২ কার্তিক ১৪৩২, ১৮ অক্টোবর ২০২৫, ২৫ রবিউস সানি ১৪৪৭

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

বাঁশখালীতে অস্ত্র দিয়ে ফাঁসানোর ঘটনায় ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০:৫৪, জুলাই ১৮, ২০২১
বাঁশখালীতে অস্ত্র দিয়ে ফাঁসানোর ঘটনায় ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি সংবাদ সম্মেলন

চট্টগ্রাম: বাঁশখালীতে অস্ত্র দিয়ে ফাঁসানোর অভিযোগে শেখেরখীলের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইয়াছিন তালুকদারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন নুরুল কাদের। একই সঙ্গে সেই অবৈধ অস্ত্রের উৎস ও মালিককে চিহ্নিত করার দাবি জানান তিনি।

রোববার (১৮ জুলাই) বিকেলে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে নুরুল কাদের এ দাবি জানান।

তিনি বলেন, গত ৭ জুলাই দুপুরের দিকে বহদ্দারহাট নোয়া মসজিদ এলাকার আমার ছেলের দোকানের পাশে একটি চা দোকানে আমি বিশ্রাম নেওয়ার সময় চেয়ারম্যান ইয়াছিন ও তার ভাতিজা ইকবালের নেতৃত্বে লাঠিসোঁটা নিয়ে ১০-১৫ জন সংঘবদ্ধ হয়ে আমাকে ব্যাপক মারধর করে তুলে নিয়ে যায়।

সে সময় চেয়ারম্যানের উপস্থিতি দেখে স্থানীয়রা কেউ বাধা দেননি। পরে চেয়ারম্যান নাপোড়া-শেখেরখীল উচ্চ বিদ্যালয়ের পাশে তার কার্যালয়ে নিয়ে যায়। সেখানেও আমাকে ব্যাপক মারধর করে। এর কিছুক্ষণ পর কয়েকটি অস্ত্র বের করে চেয়ারম্যান। তার মধ্য থেকে একটি অস্ত্র বের করে চারটি কার্তুজসহ আমার হাতে তুলে দেয়। আমি নিতে অসম্মতি জানালে আমাকে মারধর করে। যা এলাকার অনেক মানুষ দেখলেও চেয়ারম্যানের ভয়ে মুখ খুলছেন না। পরে চেয়ারম্যান বাঁশখালী থানায় আমাকে নিয়ে যেতে খবর দিলে ওসি (তদন্ত) আজিজুল ইসলাম আমাকে থানায় নিয়ে আসে।  

পরে বিষয়টি জানাজানি হলে, এলাকার মানুষ বিষয়টি নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখালে পুলিশ ঘটনাটি তদন্ত করার উদ্যোগ নেয়। এরই ধারাবাহিকতায় সহকারী পুলিশ সুপার (আনোয়ারা সার্কেল) হুমায়ুন কবীর ও বাঁশখালী থানার ওসি মো. শফিউল কবীর বহদ্দারহাট নোয়া মসজিদ এলাকার ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘটনাটি তদন্ত করেন এবং ঘটনাটি সাজানো বলে নিশ্চিত হন। যে কারণে রাতেই একটি সাদা কাগজে স্বাক্ষর নিয়ে পুলিশ আমাকে ছেড়ে দিয়ে চিকিৎসার জন্য পাঠায়।

তিনি বলেন, আমি চিকিৎসাধীন অবস্থায় জানতে পারি গত ১০ জুলাই চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে একটি মামলা করা হয়েছে। যার বাদি আমি। এ মামলা থেকে গত ১৫ জুলাই (বৃহস্পতিবার) চেয়ারম্যান ইয়াছিন জামিন হয়ে আবারো আমার ঘরে হামলা করে। আমার সঙ্গে গত ছয় মাস ধরে সংঘটিত ঘটনাগুলো বিশ্লেষণ করলেই বোঝা যাবে চেয়ারম্যান ক্ষোভের বশবর্তী হয়ে এমন জঘন্য কাজ করছে। ’

তিনি জানান, মূলত একটি বিচার চেয়ে চেয়ারম্যানের কাছে দেওয়া ৫০ হাজার টাকা ফেরত চাওয়ায় চেয়ারম্যান তার ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে একের পর এক হামলা আর নির্যাতনের ঘটনা ঘটাতে থাকেন।  

তিনি অস্ত্র দিয়ে ফাঁসানোর ঘটনায় চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না এবং অস্ত্রের উৎস কেন খোঁজা হচ্ছে না প্রশ্ন রাখেন আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর প্রতি।

বাংলাদেশ সময়: ২০৪২ ঘন্টা, জুলাই ১৮, ২০২১
এমএম/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।