চট্টগ্রাম: নগরের দুই নম্বর গেইট এলাকার টেক্সটাইল মোড়। তার ঠিক পশ্চিম পাশেই এশিয়ান অ্যাগ্রো।
কোরবানি উপলক্ষে তিনশটি গরু মজুত ছিল। এ অল্প সময়েই সেখান থেকে বিক্রি হয়েছে ১৯০টি। বাকিগুলো কোরবানির আগেই বিক্রি হওয়ার আশা করছেন ফার্মের স্বত্বাধিকারী ওয়াসিফ আহম্মেদ সালাম।
সরেজমিন দেখা যায়, প্রবেশপথে প্রথমে স্যানিটাইজার দিয়ে হাতে ধুয়ে দেওয়া হচ্ছে। গরুর খামারে ঢুকতেই জীবাণু প্রতিরোধক বুথ স্থাপন করা হয়েছে। গরু কেনার পর ক্রেতাদের উপহার হিসেবে দেওয়া হচ্ছে হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও মাস্ক।
২০১৬ সালে মাত্র ৪টি গরু নিয়ে সালাম শুরু করেছিলেন এশিয়ান অ্যাগ্রো। ২০১৭ সালে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে গরু এনে এ ফার্মের বাণিজ্যিক যাত্রা শুরু হয়। গরুকে সার্বক্ষণিক জীবাণুমুক্ত রাখতে কাজ করছেন ১৮ জন শ্রমিক। তারা গরু রাখার স্থান কিছুক্ষণ পরপর জীবাণুনাশক ঔষধ ছিটিয়ে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করছেন।
ওয়াসিফ আহম্মেদ সালাম বাংলানিউজকে বলেন, নিঃসন্দেহে এটি একটি সফল ব্যবসা। এখানে আপনাকে চ্যালেঞ্জ নিতে হবে। চ্যালেঞ্জ নেওয়ার মানসিকতা তৈরি করতে হবে। লন্ডনের সিটি বিজনেস স্কুল থেকে বিবিএ শেষ করে এই কাজে হাত দিয়েছি। কিছু গরু আছে, আশা করি সামনের দিনগুলোতে এগুলো বিক্রি হয়ে যাবে।
তিনি বলেন, এ খামার থেকে বিদেশে গরু রফতানির পরিকল্পনা আছে। ডেইরি ফার্ম করার পরিকল্পনাও আছে। ক্রেতারা এসে গরু পছন্দ করে টাকা দিয়ে চলে যান। কোরবানির আগের দিন পর্যন্ত আমাদের দায়িত্বে থাকবে। পরে ঠিকানা অনুযায়ী পাঠিয়ে দেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১২৪৮ ঘণ্টা, জুলাই ১৪, ২০২১
এমএম/এসি/টিসি