চট্টগ্রাম: করোনায় ১৬ মাস ধরে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শাটল ট্রেন চলাচল বন্ধ। এই সময়ে নতুন করে বসানো হয়েছে রেললাইন, সম্প্রসারণ করা হয়েছে স্টেশন।
দেখা গেছে, ফতেয়াবাদ স্টেশন থেকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় স্টেশন পর্যন্ত রেললাইনের বেশিরভাগ অংশে নেই পাথর।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দীর্ঘদিন রেল চলাচল বন্ধ থাকায় স্থানীয়রা চুরি করে নিয়ে গেছে রেলের এইসব যন্ত্রপাতি। তবে রেল চলাচল শুরুর আগে সবকিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখা হবে।
শিক্ষার্থীরা বলছেন, অনেকদিন অবহেলা আর অযত্নে রেললাইনের অবস্থা নাজুক ছিল। সম্প্রতি রেললাইন সংস্কার করা হয়। কিন্তু এখন নতুন করে আবারও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। আবারও সংস্কার করা না হলে রেল চলাচল শুরু হলে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর ড. রবিউল হাসান ভুঁইয়া বাংলানিউজকে বলেন, রেললাইন সংস্কার করা হয়েছিল। এখন শুনছি রেললাইনের বিভিন্ন যন্ত্রপাতি চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলাপ করবো, যাতে রেল চলাচল শুরুর আগেই সংস্কারের ব্যবস্থা করা হয়।
রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী মো. সুবক্তগীন বাংলানিউজকে বলেন, রেললাইনের পাশে বস্তি থেকে শুরু করে বিভিন্ন বসতি থাকে। কে কখন কিভাবে চুরি করে নিয়ে যায় তা আমাদের নজরে আসে না। যখন বিষয়গুলো জানতে পারি তখন জিআরপি থানায় মামলা করা হয়। এছাড়া দীর্ঘ বন্ধের পর রেল চলাচল শুরুর আগে রেললাইনে কোনো ত্রুটি আছে কিনা তা খুঁজে দেখতে আমরা পরিদর্শন করি।
প্রসঙ্গত, চট্টগ্রাম-ষোলশহর ও ষোলশহর থেকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) পর্যন্ত ২৬ কিলোমিটার রেললাইনে পিসি স্লিপার এবং ৩ হাজার কিউবিক মিটার ব্যালাস্ট স্প্রেডিং করা হয় গত বছর। ফলে আগে যেখানে এই রুটে শাটল ট্রেন ঘণ্টায় ৩০ কিলোমিটার (কিমি) গতিতে চলতো, সেখানে এখন ৫০ কিলোমিটার গতিতে চলবে।
বাংলাদেশ সময়: ১২২২ ঘণ্টা, জুলাই ১৪, ২০২১
এমএম/এসি/টিসি