চট্টগ্রাম: করোনা পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে কোরবানির পশু কেনা-বেচায় বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে এগ্রো ফার্মগুলো। কোন রকম স্বাস্থ্যঝুঁকি ছাড়াই প্রায় প্রতিদিন বিক্রি করছেন পশু।
নগরের আতুড়ারডিপো এলাকায় তিন ভাইয়ের উদ্যোগে গড়ে ওঠা সার্ম এগ্রো ফার্মে দেখা মিলবে এমন চিত্রের। গত বছর কোরবানির ঈদ থেকে এ প্রতিষ্ঠান শুরু করলেও এ বছর ভালো লাভের আশা করছেন তারা।
সার্ম এগ্রো ফার্মের সত্ত্বাধিকারী আহমেদ ইফতেখার হাসান নিয়াজ বাংলানিউজকে বলেন, করোনায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে পশু বিক্রির ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। স্বাভাবিক নিয়মে বিক্রি হচ্ছে পশু। গরু পছন্দ হওয়ার পর বাসায় পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থাও রেখেছি।
শুধু সার্ম এগ্রোই নয়, এশিয়ান এগ্রো, সারা এগ্রো, রাশা এগ্রোসহ নগরে গড়ে উঠেছে আরও বেশকিছু এগ্রো ফার্ম। প্রথমে শখের বসে শুরু করলেও এখন তা আয়ের মূল উৎসে পরিণত হয়েছে অনেকের।
রাশা এগ্রোর মালিক সাবেক ওয়ার্ড কাউন্সিলর কফিল উদ্দিন খান বাংলানিউজকে বলেন, করোনা মহামারির কারণে গত বছর মানুষের কোরবানির পশু কেনার বিড়ম্বনা দেখে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম গরু লালন পালন করবো। অন্তত নিজেদের চাহিদা মেটাবো। তাই ছোট পরিসরে খামার শুরু করি। আমার খামারে সবগুলো দেশীয় প্রজাতির গরু রাখা হয়েছে। কোন ফিড দেওয়া হচ্ছেনা।
তিনি আরও বলেন, গো খাদ্যের দাম বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে। এছাড়া খামারের প্রধান সমস্যা ভেটেরেনারি চিকিৎসকের অপ্রতুলতা। একটা গরুর চিকিৎসা করে ৩ হাজার টাকায় ফি দাবি করেন পশু চিকিৎসক। জরুরি মুহুর্তে কোনো সেবা পাওয়া যায় না। তারা তাদের নিয়ম অনুযায়ী আসেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫২ ঘণ্টা, জুলাই ০৭, ২০২১
এমএম/টিসি