চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) ও হাসপাতালের দেড় শতাধিক শিক্ষক-চিকিৎসককে একসঙ্গে বদলি করার ‘অদ্ভুতুড়ে’ আদেশ পুনর্বিবেচনা করার আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের গভর্নর আমিনুল হক বাবু।
মঙ্গলবার (৬ জুলাই) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, চট্টগ্রাম মেডিক্যালে শতাধিক করোনা রোগীর পাশাপাশি বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত দুই হাজারের বেশি মানুষ ভর্তি থাকেন।
আমিনুল হক বাবু বলেন, যেসব চিকিৎসককে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল থেকে বদলি করে জেলা-উপজেলায় পাঠানো হচ্ছে, তাদের মধ্যে আছেন দন্তরোগ, চক্ষুরোগ, প্যাথলজিস্ট, মাইক্রোবায়োলজিস্ট, কার্ডিওলজিস্ট, নিউরোসার্জন, জেনারেল সার্জন, নাক-কান ও গলা রোগ, শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ। করোনা চিকিৎসার ক্ষেত্রে এসব বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা কী ভূমিকা রাখবেন তা সাধারণ মানুষের বোধগম্য নয়।
‘আরও আশ্চর্য বিষয়, করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষায় নিয়োজিত চট্টগ্রাম মেডিক্যালের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের চিকিৎসকদেরও বদলি করা হয়েছে করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে। এর ফলে করোনার নমুনা পরীক্ষার কাজ ব্যাহত হবে। ’
মানবাধিকার সংগঠনের নেতা আমিনুল হক বাবু বলেন, ‘গণবদলির ক্ষেত্রে যেসব শিক্ষককে জেলা-উপজেলায় পাঠানো হয়েছে, তারা অনেক বছর ধরে হাসপাতালে প্র্যাকটিস করেননি। দীর্ঘদিন ধরে তারা শুধু মেডিক্যাল শিক্ষার্থীদের পড়িয়ে এসেছেন। এরকম শিক্ষকদের হাসপাতালে পাঠিয়ে করোনা রোগী দেখতে বললে ভালো সেবা পাওয়া যাবে না। বরং এসব শিক্ষকদের মধ্যে হতাশা কাজ করবে। ’
‘চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে শখানেক করোনা রোগীর জন্য যে লোকবল বর্তমানে আছে তা দিয়ে সেখানে ভালোভাবে সেবা দেয়া হচ্ছে, কোন অভিযোগ শোনা যায় না। এই হাসপাতালে নতুন করে আরও ৬০ জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক নিয়োগ দেয়া হয়েছে, তাদের কাজ কী হবে? সবমিলিয়ে সাধারণ মানুষের আজ একটাই প্রশ্ন- এভাবে চিকিৎসকদের গণবদলি করে লাভটা কী হলো?’
বাংলাদেশ সময়: ২৩০৩ ঘণ্টা, জুলাই ০৬, ২০২১
এমএম/টিসি