চট্টগ্রাম: আসন্ন কোরবানির ঈদে জবাই করা পশুর বর্জ্য ৮-১০ ঘণ্টায় অপসারণ করা হবে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী।
এ লক্ষ্যে নগরকে উত্তর, দক্ষিণ, পূর্ব, পশ্চিম জোনে ভাগ করা হয়েছে।
রোববার (৪ জুলাই) চসিকের টাইগারপাস কনফারেন্স রুমে কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণে প্রস্তুতি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র এসব তথ্য জানান।
চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহীদুল আলমের সভাপতিত্বে সচিব খালেদ মাহমুদের সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন প্যানেল মেয়র মো. গিয়াস উদ্দিন, বর্জ্য স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতি কাউন্সিলর মো. মোবারক আলী, কাউন্সিলর মো. এসরারুল হক, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম, প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম মানিক, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মারুফা বেগম নেলী, স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট জাহানারা ফেরদৌস, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী কামরুল ইসলাম, সুদীপ বসাক, ঝুলন কুমার দাশ, নির্বাহী প্রকৌশলী জয়সেন বড়ুয়া, আবু শাহদাত মোহাম্মদ তৈয়ব, বিপ্লব দাশ, মো. রেজাউল বারী ভূঁইয়া, মির্জা ফজলুল কাদের, শাহিনুল ইসলাম, নগর পরিকল্পনাবিদ আবদুল্লাহ আল ওমর।
উপ প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মোর্শেদুল আলম চৌধুরী বলেন, করোনার বিধিনিষেধের কারণে সড়কে যান চলাচল কম তাই পরিচ্ছন্ন কাজে কোনো সমস্যা হবে মনে হয় না। তবে আবর্জনা পরিষ্কারে আমাদের ১৮৮টি গাড়ি ও ৪০টি ওয়াকিটকি লাগবে। কারণ কেন্দ্রীয়ভাবে আবর্জনা পরিষ্কারে যোগাযোগের ক্ষেত্রে ওয়াকিটকির কোনো বিকল্প নেই।
মোর্শেদ আলম ওয়ার্ড পর্যায়ে কনটেইনার মোভার ও পর্যাপ্ত টমটম গাড়ি সরবরাহের অনুরোধ জানান। নয়তো আবর্জনা পরিষ্কারে সমস্যা হবে।
প্রকৌশল বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের মতো যদি পরিচ্ছন্ন বিভাগের চাহিদাপত্র থাকে তাহলে আবর্জনা পরিষ্কারের ক্ষেত্রে গাড়ি সরবরাহে কোনো সংকট হবে না।
প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কোনো সমস্যা থাকলে তা দ্রুত সমাধান করতে বলেন। তিনি বলেন, কোনো ভাবেই নির্দিষ্ট সময় সীমার বাইরে বর্জ্য অপসারণ করা যাবে না। এ ব্যাপারে পরিচ্ছন্ন, প্রকৌশলসহ সংশ্লিষ্ট বিভাগকে দায়িত্ব নিয়ে কাজ করতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০০ ঘণ্টা, জুলাই ০৪, ২০২১
এআর/টিসি