ঢাকা, শনিবার, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

বন্দর রক্ষায় কর্ণফুলীর ক্যাপিটাল ড্রেজিং চান ব্যবসায়ীরা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১১৬ ঘণ্টা, জুন ৮, ২০২১
বন্দর রক্ষায় কর্ণফুলীর ক্যাপিটাল ড্রেজিং চান ব্যবসায়ীরা ...

চট্টগ্রাম: আমদানি রপ্তানি আরও গতিশীল এবং বন্দর রক্ষায় কর্ণফুলি নদীতে ক্যাপিটাল ড্রেজিংয়ের কোনো বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেছেন ব্যবসায়ীরা। দেশের স্বার্থে চট্টগ্রামের চলমান উন্নয়ন প্রকল্পসমূহের কাজ দ্রুত শেষ করার তাগিদ দেন তারা।

 

মঙ্গলবার (৮ জুন) চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাষ্ট্রি’র উদ্যোগে প্রস্তাবিত ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেট নিয়ে অনুষ্ঠিত এক ওয়েবিনারে এসব কথা বলেন।  

ওয়েবিনারে চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলমের সভাপতিত্বে এফবিসিসিআই এর সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন, ফরেইন ইনভেস্টরর্স চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাষ্ট্রির সভাপতি রূপালী হক চৌধুরী, বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান, বাংলাদেশ সিমেন্ট ম্যানুফেকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন সভাপতি মো. আলমগীর কবির, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ’র চেয়ারম্যান আসিফ ইব্রাহিম ও ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের অ্যাক্সিকিউটিভ কমিটি ও বাংলাদেশ হাউজ বিল্ডিং ফাইন্যান্স করপোরেশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. সেলিম উদ্দিন বক্তব্য রাখেন।

প্রস্তাবিত বাজেটকে দূরদর্শী উল্লেখ করে চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর রক্ষায় কর্ণফুলী নদীতে ক্যাপিটাল ড্রেজিং প্রয়োজন। সেই সঙ্গে বন্দরনগরীর উন্নয়ন প্রকল্পসমূহ দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে। এসব প্রকল্প যথাসময়ে শেষ করতে না পারলে ব্যয় বাড়ার পাশাপাশি আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে হবে ব্যবসায়ীদের।  

এসময় কর্পোরেট করহার হ্রাস ও বিভিন্ন সেক্টরে কর অব্যাহতি বেসরকারি বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি। ।  

এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন বলেন, বেসরকারি খাতে বিনিয়োগ বেশি না হলেও সরকারি ব্যয়ের কারণে জিডিপি বৃদ্ধি পেয়েছে। মহামারির কারণে সরকার ঘোষিত প্যাকেজে বৃহৎ শিল্প মালিকরা উপকৃত হয়েছে। তবে বিভিন্ন ব্যাংকের কারণে এসএমই খাত সেভাবে উপকৃত হয়নি।  

তিনি বলেন, বর্তমান করদাতাদের ওপর অতিরিক্ত চাপ বৃদ্ধি না করে, করদাতার সংখ্যা বাড়ানো জরুরি। বিশ্ব পরিস্থিতি বিবেচনায় করহার আরও যৌক্তিক করার অনুরোধও জানান তিনি।
 
ফরেইন ইনভেস্টরর্স চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাষ্ট্রি সভাপতি রূপালী হক চৌধুরী বলেন, এ বাজেট দেশীয় শিল্পবান্ধব। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বিদেশী বিনিয়োগ তেমন বৃদ্ধি পায়নি। সরকার যদিও অবকাঠামো উন্নয়নে প্রচুর কাজ করছে। কিন্তু বৈদেশিক বিনিয়োগ আকর্ষণের জন্য আইনগত ও নীতিগত দিকে আরও নজর দেওয়া প্রয়োজন।  

বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, তৈরি পোশাক খাতে ১ শতাংশ প্রণোদনা রপ্তানি বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে। দক্ষ জনবলের অভাবপূরণে এ খাতে প্রস্তাবিত প্রশিক্ষণ কার্যক্রম আরও জোরদার করা প্রয়োজন। নীতিমালাসমূহ ৫ থেকে ১০ বছর পর্যন্ত স্থায়ী হলে উদ্যোক্তারা বিনিয়োগে আগ্রহী হবেন।  

এছাড়া প্রদেয় প্রণোদনার ওপর ১০ শতাংশ কর প্রত্যাহারের অনুরোধ জানান তিনি।   

বাংলাদেশ সিমেন্ট ম্যানুফেকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন সভাপতি মো. আলমগীর কবির বলেন, দেশে ৩৭টি সিমেন্ট উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের প্রায় ৪২ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ রয়েছে। এ খাত অবকাঠামো উন্নয়নের মাধ্যমে রাজস্ব আয় ও জিডিপিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। এ খাতের উন্নয়নে ক্লিংকার আমদানিতে শুল্ক হ্রাস এবং ডাবল ট্যাক্সেশন প্রত্যাহার করা জরুরি।

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের অ্যাক্সিকিউটিভ কমিটি ও বাংলাদেশ হাউজ বিল্ডিং ফাইন্যান্স করপোরেশন চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. সেলিম উদ্দিন বলেন, বড় বাজেটে বড় ঘাটতি থাকবে। তবে সাম্প্রতিক সময়ে বিদেশী উৎস থেকে যথেষ্ট পরিমাণ ঋণ পাওয়া যাচ্ছে। কর অব্যাহতির কারণে সরকারের রাজস্ব কমে গেলে অভ্যন্তরীণ খাত থেকে ঋণ নেওয়ার প্রবণতা বেড়ে যাবে। যা অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।

বাংলাদেশ সময়: ২১০৩ ঘণ্টা, জুন ০৮, ২০২১
এমএম/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।