ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ফুটপাতে প্রসব বেদনায় কাতর নারী, হাসপাতালে নিল পুলিশ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৩২ ঘণ্টা, জুন ৮, ২০২১
ফুটপাতে প্রসব বেদনায় কাতর নারী, হাসপাতালে নিল পুলিশ ...

চট্টগ্রাম: প্রসব বেদনায় রাস্তার ধারে কাতরাচ্ছিলেন মানসিক ভারসাম্যহীন এক নারী। থানা থেকে খবর পেয়ে ছুটে আসেন হালিশহর থানার এসআই সতেজ বড়ুয়া।

৯৯৯ নাম্বারে কল করা সেই ব্যক্তির সঙ্গে যোগাযোগ করে হাসপাতালে ভর্তি করান তিনি। সেখানেই এক ছেলের জন্ম দেন ওই নারী।

সোমবার (৭ জুন) বিকেল ৪টা ২০ মিনিট। নগরের নয়াবাজারের বিশ্বরোডের কাঁচাবাজারে প্রসব যন্ত্রণায় অচেতন অবস্থায় পড়ে আছেন ভারসাম্যহীন এক নারী। পাশেই মোবাইল ডিউটি করছিলেন হালিশহর থানার এসআই সতেজ বড়ুয়া। এমন সময় জানতে পারেন মানসিক ভারসাম্যহীন নারী প্রসব বেদনায় ছটফট করছেন। ছুটে যান ঘটনাস্থলে।

৯৯৯ নাম্বারে যোগাযোগ করা সুমনসহ লাইটহাউজ কনসোর্টিয়াম এনজিওর পরিচালকসহ অন্যদের সহায়তায় প্রসূতি মানসিক ভারসাম্যহীন নারীকে রাস্তা থেকে তুলে ব্র্যাক মেটারনিটি সেন্টারে ভর্তি করান। সেখানে সাড়ে ৪টার দিকে একটি ছেলের জন্ম দেন।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বাচ্চা ও মায়ের দেখাশুনা করার জন্য লাইটহাউজ কনসোর্টিয়াম এনজিওর কর্মী শারমিনকে সঙ্গে নিয়ে বাচ্চা এবং বাচ্চার মায়ের স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরে বাচ্চাটিকে দেখাশুনার জন্য স্থানীয় এক দম্পতির কাছে হস্তান্তর করেন। মঙ্গলবার (৮ জুন) আদালতের মাধ্যমে বিষয়টি নিষ্পত্তি করা হবে।

মানসিক ভারসাম্যহীন প্রসূতি মা বর্তমানে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।

এসআই সতেজ বড়ুয়া বাংলানিউজকে বলেন, থানা থেকে ফোন আসে মানসিক ভারসাম্যহীন এক নারী ফুটপাতে কাতরাচ্ছেন। খবর পেয়ে সেখানে যাই। সঙ্গে সঙ্গে তাকে ফুটপাত থেকে উদ্ধার করে স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তিনি ছেলের জন্ম দেন। স্থানীয় এক এনজিওকর্মী এবং হাসপাতালের মালিক বিল পরিশোধের ব্যবস্থা করেন।

বাংলাদেশ সময়: ১২৩০ ঘণ্টা, জুন ০৮, ২০২১
এমএম/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।