ঢাকা, শুক্রবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

বিএনপি নেতা আসলাম চৌধুরীকে শ্যোন অ্যারেস্ট দেখানোর আদেশ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৪১ ঘণ্টা, জুন ৬, ২০২১
বিএনপি নেতা আসলাম চৌধুরীকে শ্যোন অ্যারেস্ট দেখানোর আদেশ ...

চট্টগ্রাম: নগরের আকবরশাহ থানার নাশকতার এক মামলায় কারাবন্দি বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব লায়ন আসলাম চৌধুরীকে শ্যোন অ্যারেস্ট দেখানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।

রোববার (৬ জুন) দুপুরে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট হোসেন মোহাম্মদ রেজার ভার্চুয়াল আদালত এ আদেশ দিয়েছেন।

পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) চট্টগ্রাম মেট্রোর পুলিশ সুপার শাহ নেওয়াজ খালেদ বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, আকবরশাহ থানার নাশকতার ০১.০২.২০১৫ মামলায় আসলাম চৌধুরীকে শ্যোন অ্যারেস্ট দেখাতে সিআইডির পক্ষ থেকে আদালতে আবেদন করা হয়।

শুনানি শেষে আদালত আসলাম চৌধুরীকে শ্যোন অ্যারেস্ট দেখানোর আদেশ দেন।

রোববার (৬ জুন) প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে আপিল বিভাগ কারাবন্দি বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব লায়ন আসলাম চৌধুরীকে রাজধানীর কোতোয়ালি ও শাহবাগ থানার দায়ের করা নাশকতার দুই মামলায় হাইকোর্টের দেওয়া জামিন আগামী ২০ জুন পর্যন্ত জামিন স্থগিত করেন।

এই সময়ের মধ্যে রাষ্ট্রপক্ষকে লিভ টু আপিল করতে বলা হয়েছে। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। আসলামের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল।

এই দুই মামলায় গত ৩০ মে বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম ও বিচারপতি মহি উদ্দিন শামীমের ভার্চ্যুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ নিয়মিত বেঞ্চ খোলা পর্যন্ত জামিন দেন। এ জামিনাদেশ স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ।

২০১৩ সালে নাশকতার এই দুই মামলায় শ্যোন অরেস্ট দেখানো হয়েছিলো আসলাম চৌধুরীকে।

ভারতে গিয়ে ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের এক কর্মকর্তার সঙ্গে ‘সরকার উৎখাতের’ জন্য আলোচনা করার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। ২০১৬ সালে দিল্লি ও আগ্রার তাজমহল এলাকায় ইসরায়েলের সেন্টার ফর ইন্টারন্যাশনাল ডিপ্লোমেসি অ্যান্ড অ্যাডভোকেসির প্রধান লিকুদপার্টির নেতা মেন্দি এন সাফাদির সঙ্গে আসলাম চৌধুরীর বিভিন্ন অনুষ্ঠানে দেখা-সাক্ষাতের বেশ কিছু ছবি প্রকাশিত হলে দেশ-বিদেশে তোলপাড় হয়।

২০১৬ সালের ১৫ মে সন্ধ্যায় রাজধানীর কুড়িল বিশ্বরোড এলাকা থেকে আসলাম চৌধুরী ও তার ব্যক্তিগত সহকারী মো. আসাদুজ্জামান মিয়াকে আটক করে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (উত্তর)। পরে তাদের ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পরদিন ১৬ মে ৫৪ ধারায় (মোসাদ কানেকশনে সরকার উৎখাতে ষড়যন্ত্রের সন্দেহ) গ্রেফতার দেখিয়ে তাদের দুইজনের ১০ দিন করে রিমান্ডের আবেদন করে পুলিশ। আদালত সাতদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমতি পাওয়ার পর ওই বছরের ২৬ মে আসলাম চৌধুরীর বিরুদ্ধে গুলশান থানায় দায়ের করা হয় রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলাটি। দণ্ডবিধির ১২০ (বি), ১২১ (৩) ও ১২৪ (এ) ধারায় ডিবির ইন্সপেক্টর গোলাম রাব্বানী বাদী হয়ে মামলাটি করেন। পরে ওই মামলায় তিনি উচ্চ আদালত থেকে জামিন পেয়েছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ২১২০ ঘণ্টা, জুন ০৬, ২০২১
এমএম/টিসি
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।