চট্টগ্রাম: সপ্তাহখানেক ধরে চট্টগ্রাম ওয়াসার সরবরাহ করা পানিতে লবণাক্ততার কারণ জানতে ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রকৌশলী একেএম ফজলুল্লাহর কাছে ছুটে গেলেন চসিকের সাবেক প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন।
বুধবার (২ জুন) দামপাড়ার ওয়াসা ভবনে এমডির সঙ্গে মতবিনিময় করেন তিনি।
নগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকার প্রধান হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর চট্টগ্রামের জনগণের কাছে সুপেয় পানি পৌঁছে দিতে ওয়াসার পানি সরবরাহ ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন আনতে শুরু করেন। হাজার হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে নতুন নতুন পানি শোধনাগার প্রকল্প গ্রহণ এবং এজন্য প্রয়োজনীয় অর্থের সংস্থানও করেছেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি এক সপ্তাহের মধ্যে ওয়াসার পানিতে লবণাক্তের পরিমাণ কমিয়ে আনার আহ্বান জানান।
সুজন বলেন, অন্যদিকে ওয়াসার একশ্রেণির অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ম্যানেজ করে সিমেন্ট ক্রসিং এলাকার গেট বাল্ব বন্ধ করে রাখছে অসাধু পানি ব্যবসায়ীরা। যে কারণে ৩৯, ৪০ ও ৪১ নম্বর ওয়ার্ডের লাখো গ্রাহক পানি বাণিজ্যকারীদের হাতে জিম্মি হয়ে পড়েছে। ওয়াসার পাইপ লাইনে পানি না থাকলেও ছোট ছোট ট্যাংকে ভরে দেদারছে ওয়াসার পানি বিক্রি হচ্ছে ঐসব এলাকায়। ওয়াসার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাঝেমধ্যে এসব অসাধু পানি ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করলেও বর্তমানে অভিযান পরিচালিত না হওয়ায় তারা বহাল তবিয়তে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে।
রিং রোড চৌচালা বড়পুল সংযোগ সড়কের বিষয়েও ওয়াসার এমডি’র সঙ্গে আলোচনা করেন তিনি।
প্রকৌশলী একেএম ফজলুল্লাহ অত্যন্ত আন্তরিকতার সঙ্গে সুজনের বক্তব্য শুনেন। লবণাক্ততার পরিমাণ বেড়ে যাওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, দীর্ঘদিন বৃষ্টি না হওয়া এবং কাপ্তাই হ্রদের পানি ছাড়া বন্ধ হয়ে যাওয়ার ফলে হালদা নদীতে কর্ণফুলীর পানি ঢুকছে। আর এ কারণেই লবণাক্ততার পরিমাণ বেড়ে গেছে। লবণাক্ততার কারণে শেখ রাসেল পানি সরবরাহ প্রকল্প ও মদুনাঘাট পানি শোধনাগার থেকে পানি উৎপাদন আপাতত বন্ধ রেখেছে ওয়াসা। তবে বৃষ্টি এলেই লবণাক্ততার পরিমাণ পুরোপুরি কমে যাবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ওয়াসার প্রধান প্রকৌশলী মাকসুদ আলম, নাগরিক উদ্যোগের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো. ইলিয়াছ, সদস্যসচিব মো. হোসেন, মো. বাবলু, মনিরুল হক মুন্না প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ২১১৫ ঘণ্টা, জুন ০২, ২০২১
এআর/টিসি