চট্টগ্রাম: ঈদের নামাজ শেষ করে ঘরে ফেরা হয়নি তখনও। কেউ শিশুদের নিয়ে এসেছেন মসজিদে, এসেছেন বয়োবৃদ্ধ অনেকে।
শুক্রবার (১৪ মে) সকাল পৌনে ১০টায় শুরু হওয়া অঝোর ধারার বৃষ্টি বিরতিতে যায় এক ঘণ্টা পর।
এসময়ে নগরের নিম্নাঞ্চলে জমে যায় পানি। ঈদের আনন্দে শামিল হতে রাস্তায় আসা কিশোর-যুবক, বয়স্করা ভিজে একাকার হয়ে যান। জায়নামাজ মাথায় দিয়েও হয়নি শেষ রক্ষা।
আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশ উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্রবন্দরগুলোর ওপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। সারাদিন আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকবে।
পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ উজ্জ্বল কান্তি পাল বাংলানিউজকে জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় ২৭ দশমিক ৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে। মধ্যরাতে আবারও বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর ও নদীবন্দরে কোনও সতর্কতা সংকেত নেই।
এদিকে বৃষ্টিতে আগ্রাবাদ সিডিএ আবাসিক এলাকা, বহদ্দারহাট, মুরাদপুর, ষোলশহর দুই নম্বর গেইট, চকবাজার, খাতুনগঞ্জসহ অধিকাংশ নিম্নাঞ্চলের সড়ক ও অলিগলিতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। এসব এলাকার নিচতলার বাসা-বাড়ি ও দোকানপাটে পানি ঢুকে গেছে। কোনো কোনো সড়কে রিকশাভ্যানে যাত্রী পরিবহন করতে দেখা গেছে। শুক্রবার হওয়ায় জুমার নামাজ আদায় করতে মসজিদে যেতে বিড়ম্বনায় পড়েছেন মুসল্লিরা।
বাংলাদেশ সময়: ১২২০ ঘণ্টা, মে ১৪, ২০২১
এসি/টিসি