চট্টগ্রাম: মাহমুদা আক্তার মিতু হত্যার ঘটনায় তার স্বামী ও পুলিশের সাবেক এসপি বাবুল আক্তারকে গ্রেফতার করার মধ্য দিয়ে পুলিশের মর্যাদা আরও বেড়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের গভর্নর আমিনুল হক বাবু।
বুধবার (১২ মে) এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ২০১৬ সালের মিতু হত্যার পরপরই উল্লেখযোগ্য আসামিরা ধরা পড়েছিল।
‘এসব তথ্য আসার পর সন্দেহভাজন হিসেবে বাবুল আক্তারকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এ সময় হত্যাকাণ্ডে বাবুল আক্তারের সম্পৃক্ততা রয়েছে বলে খবরও ছড়িয়ে পড়ে। ওই বছরের ৬ সেপ্টেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, বাবুলের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তাকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। ’
আমিনুল হক বাবু বলেন, বাবুলের পদত্যাগের বিষয়ে পুলিশের প্রশাসন থেকে তখন ব্যাখ্যা দেওয়া হয়নি। এর ফলে বাবুলের দিকে সন্দেহের তীর যায়। অন্যদিকে পুলিশের অবসরপ্রাপ্ত পরিদর্শক মোশাররফ হোসেন মেয়ে হত্যার জন্য বাবুল আক্তারকে দায়ী করে আসছিলেন। কিন্তু বাবুলকে কিছুতেই আইনের আওতায় আনা হচ্ছিল না। এমনকি তদন্তের গতি বাধাগ্রস্ত হয়। মিতু হত্যা মামলার তদন্ত দ্রুত শেষ করার বিষয়ে উচ্চ আদালত কঠোর অবস্থান নেয়। এসব কারণে মিতু হত্যা মামলার তদন্ত গতি পায়। আশার কথা এই যে, শেষ পর্যন্ত বাবুলের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের মধ্য দিয়ে দেশে একটি বড় উদাহরণ তৈরি হলো, অপরাধ করলে তাকে শাস্তি পেতেই হবে। বাবুল আক্তারকে গ্রেফতারের এই ঘটনায় পুলিশের মর্যাদা বহুগুণ বেড়ে যাবে, পুলিশের প্রতি মানুষের আস্থা, শ্রদ্ধা আরও বাড়বে। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫০ ঘণ্টা, মে ১২, ২০২১
এসি/টিসি