চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় বাঘের পরিবারে এসেছে নতুন অতিথি। তবে ৫টি বাঘ শাবকের মধ্যে এখন বেঁচে আছে তিনটি।
সোমবার (১০ মে) বাংলানিউজকে চিড়িয়াখানাটির ভারপ্রাপ্ত তত্ত্বাবধায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন শুভ নতুন বাঘের জন্ম নেওয়ার খবরটি জানান।
তিনি বলেন, ২০১৬ সালের নভেম্বর মাসে সাউথ আফ্রিকা থেকে আনা রয়েল বেঙ্গল টাইগার জাতের রাজ ও সাড়ে ৬ বছর বয়সী পরীর পরিবারে ৬ মে জন্ম নেওয়া ৩টি শাবক ভালো আছে। মায়ের দুধও খাচ্ছে। মা-ও এদের আদর-যত্ন নিচ্ছে। এটা একটা চিড়িয়াখানর জন্য সুখবর।
এবারও ২ বছর ৮ মাস বয়সী জয়ার গর্ভে জন্ম নেওয়া কন্যা সন্তান দুটিকে আগের মতো মায়ের দুধ না খাওয়ানো ফলে ৯ মে দুটিই মারা যায়। এর আগেও ২০২০ সালের ১৪ নভেম্বর জয়া তিনটি বাঘের শাবকের জন্ম দেয়, প্রসবের একদিন পর তিন শাবককে হঠাৎ করেই বুকের দুধ খাওয়ানো বন্ধ করে দেয় সে। ফলে একটি পরের দিন মারা যায় এরপরই অপর দুই বাঘ শাবককে মায়ের থেকে আলাদা করে ফেলা হলে ৩ দিনের মাথায় ২০২০ সালে ১৮ নভেম্বর মারা যায় আরেকটি শাবক। অপরটি কিউরেটর ডা. শুভর হাতে আদর যত্নে বড় হয়ে উঠে। তার নাম রাখা হয় জো বাইডেন।
১৯৮৯ সালে চট্টগ্রামে স্থাপিত ১০ একরের এ চিড়িয়াখানাটিতে বর্তমানে সদ্য জন্ম নেওয়া ৩ শাবকসহ মোট ৯টি বাঘ রয়েছে। ঢাকা চিড়িয়াখানায় ৪টি, গাজীপুর সাফারিপার্কে ৯টি, চকরিয়া সাফারিপার্কে ৫টি বাঘ রয়েছে বলে জানান কিউরেট ডা. শাহাদাত হোসেন শুভ।
তিনি আরো জানান, বাঘগুলো প্রসবকালের আগে চলাফেরা, আচার আচরণ দেখে আমরা ২০ দিন আগে অন্য বাঘ থেকে আলাদা করে ফেলি যার ফলে চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় জন্মানো বাঘ বেশি বাঁচে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৩ ঘণ্টা, মে ১০, ২০২১
ইউকেডি/টিসি