চট্টগ্রাম: হালদা নদীতে মা মাছে ডিম ছাড়ার ভরা মৌসুম এপ্রিল ও মে মাস। প্রতিবছর এপ্রিল মাসের শুরুতে বৃষ্টির দেখা পেলেও এ বছর সেটি না পেয়ে শঙ্কিত ছিল জেলেরা।
বাংলা বছরের চৈত্র-বৈশাখ মাসে বজ্রসহ বৃষ্টিপাত হলে এবং নদীতে স্রোত বৃদ্ধি পেলে মা মাছ ডিম ছাড়ে।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণীবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ও হালদা গবেষক ড. মঞ্জুরুল কিবরিয়া বাংলানিউজকে বলেন, মার্চ মাসে বৃষ্টির প্রয়োজন ছিল। এপ্রিলের মধ্যে ভরা পূর্ণিমায় যদি বৃষ্টিপাত হতো তখন মা মাছ ডিম ছাড়তে পাড়তো। একটু বৃষ্টির অপেক্ষায় ছিলাম। বৃষ্টি হওয়াতে পরিবেশটা অনুকূলে আসার প্রথম পর্যায় শুরু হলো। এখন যদি পরবর্তী অমাবস্যা আর পূর্ণিমায় বৃষ্টি হয় তাহলে মাছ ডিম ছাড়বে।
তিনি আরও বলেন, হালদার সার্বিক পরিস্থিতি ২০ বছরের মধ্যে সবদিক দিয়ে ইতিবাচক। দূষণের পরিমাণ কম, মা মাছ সংরক্ষণে ছিল, প্রচুর পরিমাণে জাল উদ্ধার হয়েছে, এলাকার মানুষ অনেক বেশি সচেতন। একটি মাত্র নেতিবাচক বিষয়, সেটা হলো ‘প্রকৃতি’। প্রকৃতি এখনো আমাদের অনুকূলে নেই।
এদিকে ডিম সংগ্রহকারী জেলেরা বলছেন, হালদায় প্রতি বছর এপ্রিল মাসের শেষ দিকে ও মে মাসে মা মাছ ডিম ছাড়ে। প্রতিবছর আমরা এপ্রিল মাসের বৃষ্টির অপেক্ষায় থাকি। এখন সেটি হয়েছে, আমরা একটু হলেও স্বস্তি অনুভব করছি।
হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রুহুল আমিন বাংলানিউজকে বলেন, হালদা নদীকে রক্ষায় উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা ছিল। তাই আজ হালদা এ পর্যায়ে এসেছে। এতদিন বৃষ্টি না হওয়াতে আমরা দুশ্চিতায় ছিলাম। শনিবার সকালের বৃষ্টি হওয়াতে কিছুটা স্বস্তি এসেছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৭, ২০২১
এমএম/টিসি