চট্টগ্রাম: ‘মুছে যাক গ্লানি, ঘুচে যাক জরা, অগ্নিস্নানে শুচি হোক ধরা’ শিরোনামে বোধন আবৃত্তি পরিষদ চট্টগ্রাম অনলাইনে বর্ষবরণ ১৪২৮ অনুষ্ঠান করেছে।
বুধবার (১৪ এপ্রিল) সকাল ৯টায় বোধনের প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য আবৃত্তিশিল্পী প্রশান্ত চক্রবর্তীর সঞ্চালনায় নববর্ষ আবাহন করেন বরেণ্য আবৃত্তিশিল্পী ও অভিনেতা জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়।
তিনি কবিগুরুর ‘এসো হে বৈশাখ’র পঙক্তিমালা উল্লেখ করে বলেন, নববর্ষ সব অসংগতি কাটিয়ে নতুনভাবে সমাজকে এগিয়ে নিয়ে যায়।
কথামালায় অংশ নেন কবি আবুল মোমেন।
আবৃত্তিশিল্পী ড. ভাস্বর বন্দ্যোপাধ্যায় সবাইকে সম্পৃক্ত করার জন্য বোধনকে ধন্যবাদ জানান। তিনি ভারতের বিভিন্ন রাজ্য এবং চীনে নববর্ষ কীভাবে ও কী নামে পালিত হয় তার ওপর আলোকপাত করেন।
তিনি বলেন, লকডাউন, রমজান মাস আজকে থেকে শুরু। এর মধ্যেও কিন্তু আমরা যতটুকু পারা যায় সব ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে ভার্চুয়াল মাধ্যমে হলেও আমরা প্রাণের উৎসব পালন করছি।
নাট্যজন আহমেদ ইকবাল হায়দার বলেন, আমি যদি বাইরে যেতে না পারি, মানুষের কাছে যেতে না পারি, ছোঁয়া না পাই, গাছের নিচে বসে গান শুনতে না পারি তাহলে ঐ উপলব্ধি থাকে না। প্রকৃতি আমাদের শিক্ষা দেয় যে, আমাদের ঘুরে দাঁড়াতে হবে। মহামারি কেটে যাক, আবার মানুষ উঠে দাঁড়াক।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বোধনের সভাপতি আবদুল হালিম দোভাষ। তিনি শৈশবের বর্ষবরণের স্মৃতিচারণ করে বলেন, করোনার কারণে আমরা বর্ষবরণে যেতে পারছি না, কিন্তু আমাদের প্রাণ তো থেমে নেই, আমাদের আকাঙ্ক্ষা থেমে নেই। তাই অন্তত অনলাইনে প্রাণের বন্ধুদের সঙ্গে দেখা করার প্রয়াস বোধন নিয়েছে। অনুষ্ঠানে যারা সম্পৃক্ত হয়েছেন তাদের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা।
অনুষ্ঠানে কবিতা পাঠ করেন কবি এজাজ ইউসুফী ও কবি সুব্রত চৌধুরী। আবৃত্তি করেন ড. অমিতাভ কাঞ্জিলাল (ভারত), শিমুল নন্দী ও মৌমিতা চৌধুরী। সংগীত পরিবেশন করেন শিল্পী পপলি চক্রবর্তী, মন্দিরা চৌধুরী ও মধুলিকা মণ্ডল। নৃত্য পরিবেশন করে ওডিসি অ্যান্ড টেগোর ডান্স মুভমেন্ট সেন্টার এবং নটরাজ নৃত্যাঙ্গন একাডেমি।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন অসীম দাশ ও হোসনে আরা তারিন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৪, ২০২১
এআর/টিসি