ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

চট্টগ্রামে বৈশাখের আয়োজন করোনায় ম্লান

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৫৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ১২, ২০২১
চট্টগ্রামে বৈশাখের আয়োজন করোনায় ম্লান প্রতীকী ছবি।

চট্টগ্রাম: করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় দেশে চলছে লকডাউন, যা ১৪ এপ্রিল থেকে আরও কঠোর হচ্ছে। বাংলা নববর্ষের প্রথম দিন ১৪ এপ্রিল।

গতবারের মত চট্টগ্রামে এবারও থাকছে না বর্ষবরণের কোনো আয়োজন।  

করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় বৈশাখের অনুষ্ঠান বাদ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন আয়োজকরা।

তবে ভার্চুয়াল মাধ্যমে বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন নানান অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বরণ করে নেবে নতুন বছরকে।

প্রতিবছর পহেলা বৈশাখকে ঘিরে নগরের ডিসি হিল, সিআরবি শিরীষতলা, চবি চারুকলা ইনস্টিটিউট, নেভাল-২, জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে বর্ষবরণের বিভিন্ন আয়োজন থাকে। করোনার কারণে গত বছরের ন্যায় এবছরও এসব কর্মসূচি বন্ধ রেখেছেন আয়োজকরা।  

ডিসি হিলে বৈশাখের অনুষ্ঠান করা হচ্ছে না জানিয়ে সম্মিলিত পহেলা বৈশাখ উদযাপন পরিষদের আহ্বায়ক আহমেদ ইকবাল হায়দার বাংলানিউজকে বলেন, বাঙালির পহেলা বৈশাখ প্রকৃতির সঙ্গে মিশে আছে। এটিকে কখনো ভার্চুয়ালি চিন্তা করা যায় না। করোনা মহামারির কারণে আমরা পহেলা বৈশাখ উদযাপন অনুষ্ঠান বন্ধ রেখেছি। একটি করোনামুক্ত বিশ্ব গড়ে তোলাই হোক নতুন বছরে সবার প্রত্যাশা।  

সিআরবি শিরীষতলায় বৈশাখি অনুষ্ঠানও এবার হচ্ছে না উল্লেখ করে নববর্ষ উদযাপন পরিষদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শেখ শওকত ইকবাল চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, পহেলা বৈশাখ উৎসব আয়োজনের ইচ্ছে থাকলেও করোনা বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। সরকার  বেশ কিছু নির্দেশনাও দিয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে পহেলা বৈশাখের আয়োজন করা সম্ভব নয়। বৈশাখ বিষয়টি মানুষের হৃদয়ে এমনভাবে গেঁথে আছে, যত ছোট আয়োজনই হোক মানুষের সমাগম হবে। তাই মানুষের স্বাস্থ্যগত ঝুঁকি বিবেচনায় আমরা এ আয়োজন থেকে সরে এসেছি।  

পহেলা বৈশাখে মঙল শোভাযাত্রার আয়োজক চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউটেও এখন নেই কোনো তৎপরতা। প্রতিবছর এই শোভাযাত্রাকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন প্রতিকৃতি তৈরিতে নির্ঘুম রাত পার করতেন চারুকলার শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। করোনা তাদের এ আয়োজনে বাধ সেধেছে।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় চারুকলা ইনস্টিটিউটের পরিচালক প্রণব মিত্র চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, গতবছরও মঙল শোভাযাত্রার জন্য প্রয়োজনীয় অনেক সরঞ্জাম সংগ্রহ করা হয়েছিল। কিন্তু করোনার কারণে সব আয়োজন ব্যর্থ হয়ে যায়। তাছাড়া গত বছর থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীরা নেই। তাই এবছরও কোনো প্রতিকৃতি তৈরির আয়োজন নেই।  

তবে সব আয়োজন বন্ধ থাকলেও এবছর ভার্চুয়ালি পহেলা বৈশাখ উদযাপনের উদ্যোগ নিয়েছে জেলা শিল্পকলা একাডেমি। প্রতিষ্ঠানটির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল আলম বাবু বাংলানিউজকে বলেন, খোলাস্থানে এবার পহেলা বৈশাখ উদযাপন করা হচ্ছে না। ছোট পরিসরে ভার্চুয়ালি ঘন্টাব্যাপি পহেলা বৈশাখ উদযাপন করা হবে।  

বাংলা বর্ষবিদায় ও বর্ষবরণ উপলক্ষে সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘সৃজামি’ মঙলবার (১৩ এপ্রিল) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় অনলাইনে অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করেছে বলে জানান সংগঠনের কর্ণধার সুজিত চক্রবর্তী।

এদিকে নগরে ২৩ এপ্রিল মারমা যুব সমাজের ১১তম জলকেলি উৎসব ‘মাহাসাংগ্রাই রিলংপোয়ে’ বাতিল করা হয়েছে। প্রতিবছর মারমা সম্প্রদায় এই জলকেলি উৎসব পালন করে থাকে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৫১ ঘণ্টা, এপ্রিল ১২, ২০২১
এমএম/এসি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।