ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

অপহরণের পর ধর্ষণ ও মুক্তিপণ: গ্রেফতার ৪

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৫৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ১১, ২০২১
অপহরণের পর ধর্ষণ ও মুক্তিপণ: গ্রেফতার ৪ গ্রেফতার চারজন

চট্টগ্রাম: নগরের আকবরশাহ থানা এলাকায় অপহরণের পর ১৬ বছরের এক গৃহকর্মীকে ধর্ষণ ও ভয় দেখিয়ে মুক্তিপণ দাবির অভিযোগে চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

তারা হলেন- ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল থানার ৪ নম্বর মনিরবাগ ইউনিয়নের আব্দুল মোতালিব মিয়ার ছেলে কালু মিয়া প্রকাশ রাজু (১৯), একই এলাকার মৃত রমজান মিয়ার ছেলে মো. সোহেল মিয়া (১৯), কুমিল্লা জেলার ব্রাহ্মণপাড়া থানার জিরন ১ নম্বর ওয়ার্ডের নুরুল ইসলামের ছেলে মো. দুলাল বাবুর্চি (৩৭) ও চট্টগ্রাম জেলার বাঁশখালী উপজেলার মৃত নুরুল ইসলামের ছেলে মো. তারেক আকবর (১৯)।

 

শনিবার (১০ এপ্রিল) সন্ধ্যায় কোতোয়ালী থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে এ চারজনকে গ্রেফতারের পাশাপাশি ওই গৃহকর্মীকে উদ্ধার করে।  

এ ঘটনায় অপহৃত গৃহকর্মী বাদি হয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করেছেন।

চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপির) কোতোয়ালী জোনের সিনিয়র সহকারী কমিশনার নোবেল চাকমা বাংলানিউজকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।

মামলা সূত্রে জানা গেছে,  ওই গৃহকর্মী নগরের কোতোয়ালী থানার রহমতগঞ্জের একটি বাসায় কাজ নেন। গত শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে সে কাজ শেষ করে রহমতগঞ্জ রোডে আসা মাত্রই এক সপ্তাহের পরিচয়ের প্রেমিক কালু মিয়া ও কালুর চাচাত ভাই মো. সোহেল মিয়ার (১৯) সঙ্গে দেখা হয়ে যায়। পাহাড়ে বেড়াতে যেতে বললে রাজি না হলে একটি সিএনজি অটোরিকশাতে তুলে আকবরশাহ থানার একটি পাহাড়ে অপহরণ করে নিয়ে যায়। সেখানে কালু মিয়া ওই গৃহকর্মীর সঙ্গে পাহাড়ের নির্জনস্থানে ধস্তাধস্তি করে। হঠাৎ দেখতে পান একজন তাদের মোবাইলে ভিডিও করছেন। তাদের ভয়ভীতি দেখিয়ে সবাই মিলে শাপলা আবাসিক মডেল পল্লী নবাব মিয়ার বাড়িতে একটি রুমে আটক করে গৃহকর্মীর কাছ থেকে ৫ লাখ  টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। আসামিরা গৃহকর্মীর বোন ও ভাইয়ের মোবাইলে ফোন করে মুক্তিপণের টাকা দাবি করে। গত শুক্রবার রাতে কালু মিয়া গৃহকর্মীকে ধর্ষণ করে।

কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নেজাম উদ্দিন বাংলানিউজকে জানান, প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলে অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবি করা একটি চক্রের চার সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারা সরল প্রকৃতির মেয়েদের টার্গেট করে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। পরবর্তীতে প্রেমের সম্পর্কের টানে পাহাড়ে নিয়ে চক্রটি ভিডিও ধারণ করে। চক্রটি দলবদ্ধভাবে প্রেমিকা ও কথিত প্রেমিককে রুমে আটক করে রাখে। জোরপূর্বক ধর্ষণ করে ও মৃত্যুর হুমকি দিয়ে মুক্তিপণ দাবি ও আদায় করে। মুক্তিপণ আদায় শেষে প্রেমিক ও তথাকথিত প্রেমিকাকে ছেড়ে দেয়।

অভিযান পরিচালনা করেন কোতোয়ালী থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ কবির হোসেন, পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) মো. জাবেদ উল ইসলাম, উপ পুলিশ পরিদর্শক (এসআই) মোমিনুল হাসান, এসআই ধর্মেন্দু দাশ, সহকারী পুলিশ পরিদর্শক (এএসআই) অনুপ কুমার বিশ্বাস, এএসআই সাইফুল আলম ও এএসআই রণেশ বড়ুয়া।  

বাংলাদেশ সময়: ১৯৩০ ঘণ্টা, এপ্রিল ১১, ২০২১
এমএম/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।