ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

চসিক মেয়রের সঙ্গে ভারতীয় সহকারী হাই কমিশনারের সৌজন্য সাক্ষাৎ 

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮২১ ঘণ্টা, মার্চ ৩, ২০২১
চসিক মেয়রের সঙ্গে ভারতীয় সহকারী হাই কমিশনারের সৌজন্য সাক্ষাৎ  ...

চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের টাইগারপাসস্থ অস্থায়ী নগর ভবনে মেয়র এম রেজাউল করিম চৌধুরীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন ভারতীয় সহকারী হাই কমিশনার শ্রী অনিন্দ্য ব্যানার্জী।

বুধবার (৩ মার্চ) সকালে সাক্ষাতকালে সহকারী হাইকমিশনার ওষুধ শিল্প, তৈরি পোশাক রফতানি শিল্প ও খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্প খাতে বাংলাদেশ বেশ ভালো অবস্থানে আছে মন্তব্য করে বলেন, ক্রম বিকাশমান এই খাতগুলো বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধির হার বৃদ্ধিতে গতিশীলতা এনেছে।

পর্যটন শিল্প বিকাশে বাংলাদেশের অপার সম্ভাবনা রয়েছে। পার্বত্য চট্টগ্রামে পর্যটন শিল্প দৃশ্যমান।
এ খাতে ধারাবাহিক উন্নয়ন দেশের অর্থনৈতিক ভিত্তিকে মজবুত ও সমৃদ্ধ করবে।

তিনি চট্টগ্রাম বন্দরের বহুমুখী ব্যবহারের ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরকে ঘিরে রিজিওনাল কানেকটিভিটি সংযুক্ত হলে বাংলাদেশ ও ভারত উভয়ই উপকৃত হবে। তিনি চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন পরিচালিত টিআইসি স্থাপনার প্রশংসা করে বলেন, ছোট্ট পরিসরের হলেও এই নাট্যভূমি ও সাংস্কৃতিক চর্চা কেন্দ্রটি অত্যাধুনিক ও নান্দনিক স্থাপনা। আমি সেখানে গিয়ে মুগ্ধ হয়েছি। এর আধুনিকায়ন ও সরঞ্জাম সংযোজনে ভারত দু’কোটি টাকা অনুদান দিয়েছে।  

তিনি কোভিড-১৯ অতিমারি মোকাবেলায় বাংলাদেশের সাফল্যের প্রশংসা করে বলেন, অনেকেই আশঙ্কা করেছিলেন কোভিড-১৯ সংক্রমণ ছোবলে বাংলাদেশের অবস্থা ভয়াবহ হবে। বাংলাদেশ একটি ঘনবসতিপূর্ণ দেশ। বিশ্বের অনেক উন্নত ও ক্ষমতাধর দেশের চেয়ে কোভিড-১৯ সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার বাংলাদেশে তুলনামূলক ভাবে অনেক কম। বাংলদেশ দ্রুত স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসছে। তিনি চট্টগ্রামের সৌন্দর্যবর্ধনের জন্য সিটি মেয়রের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।  

মেয়র এম রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে আমি মহান মুক্তিযুদ্ধে ভারতের ভূমিকা ও অবদানের জন্য সে দেশের সরকার ও জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই এবং অশেষ ঋণ স্বীকার করি। একাত্তরে ভারত আমাদের দেশের এক কোটি মানুষকে আশ্রয় দিয়েছিল। তাদের সেনাবাহিনীর অনেক কর্মকর্তা ও জওয়ান প্রাণ বিসর্জন দিয়েছে। এই ঋণ কোনো দিন শোধ হবে না।  

তিনি বলেন, যারা একসময় বাংলাদেশকে তলাবিহীন ঝুড়ি বলে মন্দবাক্য উচ্চারণ করেছিল তারা এখন বাংলাদেশের নজিরবিহীন উন্নতি দেখে লজ্জা পায় এবং তারা স্বীকার করে যে, বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেল।  

তিনি ভারতীয় সহকারী হাই কমিশনারের চট্টগ্রাম বন্দরের বহমুখী ব্যবহারের মতামতের সঙ্গে সহমত প্রকাশ করে বলেন, আমি দৃঢ় ভাবে মনে করি চট্টগ্রাম বন্দরের বহুমুখী ব্যবহারে রিজিওনাল ও ইন্টারন্যাশনাল কানেকটিভিটির সংযুক্তিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। নগরের সৌন্দর্যবর্ধন পরিকল্পিতভাবে করা হবে।  

এ সময় উপস্থিত ছিলেন চসিক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মুহাম্মদ মোজাম্মেল হক, ভারপ্রাপ্ত সচিব ও প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম, মেয়রের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৮১৫ ঘণ্টা, মার্চ ০৩, ২০২১
এআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।