ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

শেখ হাসিনার কর্মী হিসেবে সৃষ্টিশীল কাজ করতে হবে: নওফেল

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৩২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০২১
শেখ হাসিনার কর্মী হিসেবে সৃষ্টিশীল কাজ করতে হবে: নওফেল ব্রিজ ও সংযোগ সড়ক উদ্বোধন অনুষ্ঠানে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল

চট্টগ্রাম: শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেছেন, শেখ হাসিনার কর্মী হিসেবে আমাদের সৃষ্টিশীল কাজ করতে হবে। মানুষের জন্য কিছু করার এটাই সুযোগ।

মুজিববর্ষ এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে আমরা যদি অঙ্গীকার করতে পারি- আমরা ময়লা আবর্জনা নর্দমায় ফেলবো না, তাহলে আগামী ৫০ বছর পর বাংলাদেশ একটি ময়লামুক্ত দেশে পরিণত হবে।  

বৃহস্পতিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) নগরের প্রবর্তক মোড়ে ব্রিজ ও সংযোগ সড়ক উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

নওফেল বলেন, সবার কাছে আহ্বান জানাতে চাই এদেশের প্রত্যেক অবকাঠামো জনগণের সম্পদ। এর দেখভালের দায়িত্ব জনগণের নিজের।

তিনি বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীতে তারই সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আজ আমরা একটা পর্যায়ে পৌঁছাতে পেরেছি।

নওফেল বলেন, চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা নিয়ে যে সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে, যে জনদূর্ভোগের সৃষ্টি হয়েছে তা থেকে পরিত্রাণের জন্য প্রধানমন্ত্রীর দিক নির্দেশনায় চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের হাত দিয়ে এ প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য ৩৪ ইঞ্জিনিয়ারিং ব্রিগেড বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মাধ্যমে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে সেনাবাহিনী এ প্রকল্পটি চমৎকারভাবে সম্পন্ন করছেন। তাদের সুযোগ্য পরিকল্পনার কারণে এ কাজ এগিয়ে এসেছে। শুরু থেকেই আমরা চমৎকার সমন্বয় দেখছি। ইতিমধ্যে দেখছি আমাদের খাল, নালাগুলো সম্প্রসারিত হয়েছে।

সবকিছু একটা পরিকল্পনার মধ্যে এসেছে। আমরা আশা করছি আগামী বর্ষায় কিছুটা হলেও পূর্বে যেমন পানি জমে থাকতো, তা কমে যাবে বলে আমাদের ধারণা।

নওফেল বলেন, আমাদের বিশ্বাস আছে রাজধানীতে যেমন হাতিরঝিল থেকে শুরু করে অন্যান্য প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ারিং বিগ্রেডরা দক্ষতার পরিচয় দিয়ে কাজগুলো সুন্দরভাবে সম্পন্ন করেছে। আমরা যদি ধৈর্য ধরে তাদের সহযোগিতা করতে পারি, তাহলে তা যথা সময়ে শেষ হবে। একটা টেকসই সমাধান আমরা পাবো বলে আশাবাদি।

সেনাবাহিনীকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, কাজটি প্রধানমন্ত্রীর। সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সুযোগ্য কৌশলী যারা আছেন সবাই মিলে সুন্দরভাবে কাজটি করছে। আর এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে আমাদের গর্বের প্রতীক বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। তাই আমি তাদের সবাইকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এম জহিরুল আলম দোভাষসহ সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ০০২৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০২১
এসকে/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।