ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

চট্টগ্রামে প্রি-পেইড মিটার পাননি ৬ লাখ ৯০ হাজার বিদ্যুৎ গ্রাহক

জমির উদ্দিন, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৪৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২১
চট্টগ্রামে প্রি-পেইড মিটার পাননি ৬ লাখ ৯০ হাজার বিদ্যুৎ গ্রাহক ...

চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও তিন পার্বত্য জেলা নিয়ে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) চট্টগ্রাম। এসব অঞ্চলে বিদ্যুৎ গ্রাহক সাড়ে ১১ লাখ।

এর মধ্যে ৬ লাখ ৯০ হাজার গ্রাহক এখনও প্রি-পেইড মিটার পাননি। সে হিসেবে মাত্র ৪০ শতাংশ গ্রাহক প্রিপেইড মিটারের সুবিধা পাচ্ছেন।
তারাও আবার চট্টগ্রাম নগরের বাসিন্দা।

পিডিবি সূত্র জানায়, পিডিবি চট্টগ্রামের অধীনে সবমিলিয়ে ২১টি বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ রয়েছে। এর মধ্যে ১২টির অবস্থানই চট্টগ্রাম নগরে। ২০১৬ সালের ২৮ অক্টোবর ‘প্রিপেমেন্ট মিটারিং প্রজেক্ট ফর ডিস্ট্রিবিউশন সাউদার্ন জোন’র আওতায় চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ, স্টেডিয়াম, পাহাড়তলী ও খুলশী এই চার বিতরণ বিভাগে প্রিপেইড মিটার স্থাপনের কাজ শুরু করা হয়।  

প্রথম পর্যায়ে চারটি বিভাগে ১ লাখ ৩৯ হাজার গ্রাহককে প্রি-পেইড মিটারের আওতায় আনা হয়। এরপর ধাপে ধাপে পাথরঘাটা, কালুরঘাট, ষোলশহর, বাকলিয়া, মাদারবাড়ী, হালিশহর, নিউমুরিং, রামপুর বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগের গ্রাহকেরা প্রি-পেইড মিটারের আওতায় আসতে থাকে।  

এর মধ্যে দ্বিতীয় পর্যায়ে দেড় লাখ এবং তৃতীয় পর্যায়ে ১ লাখ গ্রাহক প্রি-পেইড মিটার পান। এই ৩ লাখ ৮৯ হাজার প্রি-পেইড মিটার স্থাপনের কাজ শেষ হয় ২০১৮ সালের শুরুতেই। এরপর মাঝেমধ্যে কিছু কিছু মিটার স্থাপন করা হয়।  

এসব মিলিয়ে বর্তমানে ৪ লাখ ৬০ হাজার গ্রাহক এই মিটার পেয়েছেন। ১৪০ কোটি টাকায় এসব মিটার কেনা হয়েছে চীন থেকে। সেদেশের ‘হেক্সিং ইলেকট্রিক্যাল কোম্পানি’ নামের একটি প্রতিষ্ঠান এসব মিটার সরবরাহ করে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পিডিবির এক কর্মকর্তা বাংলানিউজকে বলেন, এখন যেসব প্রিপেইড মিটার আছে সেগুলোর বেশিরভাগেরই স্থাপন কাজ শেষ হয় দুই বছর আগে। এরপর নতুন করে প্রি-পেইড মিটার স্থাপনে কোনো প্রকল্প পায়নি সংস্থাটি। ফলে ম্যানুয়েল মিটার ব্যবহার করা বড় সংখ্যক গ্রাহকের ভোগান্তি লেগেই আছে।

প্রি-পেইড মিটার ব্যবহার বাড়লে বকেয়াও কমে যাবে উল্লেখ করে এ কর্মকর্তা বলেন, বর্তমানে পিডিবির ২৩৫ কোটি টাকা বিদ্যুৎ বিল বকেয়া আছে। সেসবের সিংহভাগই ম্যানুয়েল গ্রাহকের কাছ থেকে পাওনা। ৬০ শতাংশ গ্রাহক আওতার বাইরে। পুরো অংশ প্রি-পেইড মিটারের আওতায় আনা হলে বকেয়া শূন্যের কোটায় নেমে আসবে।

সদ্য দায়িত্ব নেওয়া পিডিবি চট্টগ্রামের প্রধান প্রকৌশলী দেওয়ান সামিনা বানু বাংলানিউজকে বলেন, আমরা  নতুনভাবে প্রি-পেইড মিটার দেওয়ার কাজ শুরু করেছি। ইতোমধ্যে ৭ হাজার গ্রাহককে প্রি-পেইড মিটার দেওয়া হয়েছে। বাকি গ্রাহকদেরও ধীর ধীরে প্রি-পেইড মিটারের আওতায় আনা হবে। প্রি-পেইড মিটারের আওতায় আনা গেলে বিদ্যুৎ চুরি, অপচয় ও বকেয়া কমে যেত।  

বাংলাদেশ সময়: ১৯২০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২১
জেইউ/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।