ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

চমেক হাসপাতাল 

বিপাকে চর্ম ও যৌনরোগে আক্রান্ত রোগীরা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৪১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২১, ২০২১
বিপাকে চর্ম ও যৌনরোগে আক্রান্ত রোগীরা ফাইল ছবি।

চট্টগ্রাম: করোনা আক্রান্ত রোগীদের চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে চর্ম ও যৌনরোগ ওয়ার্ডে চিকিৎসা দেওয়া হয়। ২০ শয্যার এ ওয়ার্ডটিকে করোনার রোগীদের জন্য ‘বিশেষ’ বরাদ্দে রেখেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।


 
এ অবস্থায় বেকায়দায় পড়েছেন চর্ম ও যৌনরোগে আক্রান্ত রোগীরা। প্রতিদিন অন্তত ৪০ জন হাসপাতালে ভর্তিযোগ্য রোগী বহির্বিভাগে চিকিৎসা নিয়ে ফেরত যাচ্ছেন বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট সূত্র।

সরেজমিন দেখা যায়, হাসপাতালে বহির্বিভাগের মেডিক্যাল অফিসারকে ভিড় সামলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। রোগী ভর্তির সুযোগ না থাকায় বহির্বিভাগেই চলছে চিকিৎসা। রোগীর চাপ বেশি থাকায় চারজন মেডিক্যাল অফিসার সপ্তাহে ছয়দিনই চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। চিকিৎসকদের পরামর্শে হাসপাতালে ভর্তিযোগ্য রোগীরা বাধ্য হয়ে বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।  

চমেক হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, হাসপাতালের মূল ভবনের নিচতলায় ২০ শয্যার চর্ম ও যৌনরোগ ওয়ার্ডে রোগী ভর্তির পর চিকিৎসা চলতো। করোনা মহামারী শুরু হলে ওয়ার্ডটিকে আইসোলেশন শয্যার জন্য ব্যবহার করা হয়। এখনও সেখানে করোনা আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসা চলছে।

চর্ম ও যৌনরোগ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, এই ওয়ার্ডে অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপক, সহকারী অধ্যাপক ও রেজিস্টারসহ ১০ জন কর্মরত ছিলেন। প্রতিদিন গড়ে ৪০ জন রোগী ওয়ার্ডে ভর্তি থাকতেন। নিয়মিত ক্লাস ও সভা সেমিনারের আয়োজন করা হতো। কিন্তু নির্দিষ্ট ওয়ার্ড না থাকায় ওয়ার্ডের সকল শিক্ষক ছড়িয়ে ছিটিয়ে অফিস করছেন। গড়ে চারজন মেডিক্যাল অফিসার প্রতিদিন বহির্বিভাগে ২শ থেকে ৩শ রোগীর চিকিৎসা সেবা দিচ্ছেন।  

চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের চর্ম ও যৌনরোগ বিভাগের অধ্যাপক ডা. আবুল কাশেম চৌধুরী জানান, আমাদের ওয়ার্ডে করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা চলছে। তাই চর্ম ও যৌন রোগে আক্রান্ত রোগী ভর্তির সুযোগ নেই। তবে বহির্বিভাগে রোগীদের চিকিৎসা চলছে। জরুরি প্রয়োজনে রোগীদের মেডিসিন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হচ্ছে।  

চর্ম ও যৌনরোগ বিভাগের অফিস ও ক্লাসের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, আপাতত মেডিক্যাল কলেজে অফিস ও ক্লাস চলছে। আমাদের শিক্ষকরা বিভিন্ন স্থানে বসে অফিস করছেন।

চর্ম ও যৌনরোগ বিভাগে কোনও রোগী ভর্তি করা হচ্ছে না জানিয়ে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. আফতাবুল ইসলাম জানান, কোভিড-১৯ রোগীদের জন্য চর্ম ও যৌনরোগ ওয়ার্ড ব্যবহার করা হচ্ছে। নানান কারণে ওয়ার্ডটি এখনও চালু করা যায়নি। নতুন ভবনের দশম তলা ওয়ার্ডটির জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। ওয়ার্ড চালু করার জন্য অধিকাংশ কাজ শেষ হয়েছে।  

বাংলাদেশ সময়: ১২৩০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২১, ২০২১
এসি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।