ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটিতে ওয়েবিনার

স্মার্টফোন: এ পাওয়ারফুল বায়োমেডিক্যাল টুল 

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৫৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০২১
স্মার্টফোন: এ পাওয়ারফুল বায়োমেডিক্যাল টুল   ‘স্মার্টফোন : এ পাওয়ারফুল বায়োমেডিক্যাল টুল’ শীর্ষক ওয়েবিনার

চট্টগ্রাম: আমরা যে-মোবাইল ফোনকে শুধুমাত্র সোশ্যাল মিডিয়ার হাই-হ্যালোর জন্য ব্যবহার করি, সেই মোবাইল ফোন ব্যবহার করেই পুরো বিশ্বে আজ বায়োমেডিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এর বিভিন্ন সেক্টরে কাজ হচ্ছে।
 
প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের আয়োজনে ‘স্মার্টফোন: এ পাওয়ারফুল বায়োমেডিক্যাল টুল’ শীর্ষক ওয়েবিনারে প্রধান আলোচক প্রকৌশল ও বিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. তৌফিক সাঈদ এ কথা বলেন।

বুধবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টায় প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটিতে আয়োজিত ওয়েবিনারে স্মার্টফোনে যুক্ত বিভিন্ন সেন্সর ব্যবহার করে কিভাবে মানবশরীরের বিভিন্ন রোগ কিংবা শারীরিক বৈশিষ্ট্য নিজেদের আয়ত্তে রাখা যায় তা নিয়ে আলোচনা হয়।

ওয়েবিনারে সভাপতিত্ব করেন বিভাগের চেয়ারম্যান টোটন চন্দ্র মল্লিক।

সহকারী অধ্যাপক সাইফুদ্দিন মুন্নার সঞ্চালনায় কী-নোট স্পিকার হিসেবে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির প্রাক্তন শিক্ষক ও বর্তমানে নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক ড. তানজিলুর রহমান।  

মূল প্রবন্ধে ড. তানজিলুর রহমান স্মার্টফোনের বিভিন্ন সেন্সর, যেমন: ম্যাগনেটোমিটার, অক্সিমিটার কিংবা জায়রোস্কোপ ব্যবহার করে আমাদের স্বাস্থ্যসংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য অর্থাৎ হার্ট রেট, রক্তের অক্সিজেনের পরিমাণ, এমনকি ইসিজি সিগন্যাল পদ্ধতি কিভাবে পাওয়া যায় তা নিয়ে আলোচনা করেন।  

তিনি বিভিন্ন গবেষণাপত্রের উদাহরণ তুলে ধরেন, কিভাবে স্মার্টফোনের সেন্সরগুলো ব্যবহার করে আমরা আরো অনেক ধরনের বায়োমেডিক্যাল টুলসে পরিণত করতে পারি আমাদের নিত্য প্রয়োজনীয় মোবাইলকে।

প্রধান আলোচক প্রফেসর ড. তৌফিক সাঈদ বলেন, আমাদের চিন্তার পরিধিকে অনেক বেশি বাড়াতে হবে। ভবিষ্যতে প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ থেকে বায়োমেডিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে নতুন নতুন গবেষণার দ্বার উন্মুক্ত হবে।

টোটন চন্দ্র মল্লিক বলেন, নিত্য ব্যবহারযোগ্য মোবাইল ফোনের মাধ্যমে আমাদের রোগ থেকে মুক্তি কিংবা কোনো একজনের রোগের আগাম সংকেত দিতে পারার বিষয়ে শিক্ষার্থীরা জানতে পেরে অনেক বেশি উপকৃত হয়েছে।

অনলাইন মাধ্যম জুম ও ফেসবুকে অনুষ্ঠিত ওয়েবিনারে ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সকল শিক্ষক-শিক্ষিকা ও ১১৫ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন। শেষে শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন কী-নোট স্পিকার ড. তানজিলুর রহমান।

বাংলাদেশ সময়: ০৯৫০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০২১
এসি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।