ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

সুপারশপ ছেড়ে ভ্যানগাড়িতে বাহারি খেজুর

নিউজরুম এডিটর | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৩৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০২১
সুপারশপ ছেড়ে ভ্যানগাড়িতে বাহারি খেজুর ছবি: বাংলানিউজ

চট্টগ্রাম: মেডজুল, আজোয়া, মরিয়ম, সাফাভি, ফরিদা, দাবাস, খুরমা, জায়েদি। নামগুলো ভিন্ন আকৃতি ও স্বাদের খেজুরের।

চাহিদা কমে যাওয়ায় রফতানিকারকরা স্বল্প লাভে এসব খেজুর বিক্রি করে দিচ্ছেন। তাই দেশের বাজারে সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় পাইকারি দোকান ও অভিজাত সুপারশপ ছেড়ে এখন ভ্যানগাড়িতেও বিক্রি হচ্ছে খেজুর।

নগরের বিভিন্ন এলাকায় বিক্রি হওয়া এই ফলের মধ্যে আছে মেয়াদোত্তীর্ণ খেজুরও। নতুন প্যাকেটে ভরে সেগুলো বাজারজাত করছে অসাধু ব্যবসায়ীরা।

জানা গেছে, চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে দেশে সবচেয়ে বেশি খেজুর আমদানি হয়। আমিরাতে উৎপাদিত খেজুর ছাড়াও সৌদি আরব, ইরাক, ইরান, মিসর, তিউনিশিয়া ও আলজেরিয়ায় উৎপাদিত খেজুর বিভিন্ন দেশে রফতানি করা হয়। চলতি অর্থবছরের জুলাই-জানুয়ারি মাসে বাংলাদেশে আমদানি হয়েছে ৪৯ হাজার ৫৪১ টন খেজুর।

প্রতিবছর রমজান মাসকে কেন্দ্র করে হিমাগারে মজুদ রাখা হয় কার্টন ভর্তি খেজুর। মেয়াদোত্তীর্ণ হলে কার্টনের লেবেলের ওপর নতুন লেবেল বসিয়ে সেগুলো খোলাবাজারে বিক্রি করে দেওয়া হয়। রেয়াজউদ্দিন বাজার চৈতন্যগলি এলাকার হিমাগার থেকে এসব খেজুর যায় ফলমন্ডিতে।  

সংশ্লিষ্টরা জানান, খেজুর সাধারণত দেড় বছর পর্যন্ত ভালো থাকে। এজন্য ফ্রিজে স্বাভাবিক তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করতে হয়। প্লাস্টিকের প্যাকেটে রাখা খেজুর অল্প সময়ে নষ্ট হয়ে যায়, স্বাদে আসে পরিবর্তন।

স্টেশন রোড ফলমন্ডির ব্যবসায়ী ইব্রাহীম চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, করোনার কারণে দাম কমে যাওয়ায় বাংলাদেশে পর্যাপ্ত খেজুর আমদানি হয়েছে। কোল্ড স্টোরেজগুলোতেও খেজুর মজুদ আছে।

আসাদগঞ্জের আমদানিকারক ফারুক আহমেদ জানান, খেজুরের দাম কমে গেছে। সাধারণ মানের ৬ লাখ টাকার প্রতি টন আজোয়া খেজুরের রফতানি মূল্য এখন আড়াই লাখ টাকা।

রেয়াজউদ্দিন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বিখ্যাত আজোয়া খেজুর খুচরায় বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা, মেডজুল ও মরিয়ম ৫০০ থেকে ৭০০ টাকা, সাফাভি (কালমি) ও ফরিদা ২০০ টাকা। সাধারণ খেজুর পাওয়া যায় ২২০ থেকে ২৫০ টাকায়।  

পাইকারিতে আমিরাত গোল্ড খেজুর প্রতিকেজি ৯৫-১০০ টাকা, নাগাল খেজুর কেজি ১২০ টাকা, বরই খেজুরের কেজি ১৪০-১৫০ টাকা, ধাবাস খেজুর ১৭০-১৯০ টাকা ও মদিনা-মনোয়ারা খেজুর ১৩৫-১৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।  

আন্দরকিল্লা এলাকার খেজুর বিক্রেতা সালমান আলী বাংলানিউজকে বলেন, ফলমন্ডি থেকে সংগ্রহ করে আনা বিভিন্ন জাতের এসব খেজুর বিক্রি করছি স্বল্প লাভে। এর মধ্যে আজোয়া ও আম্বর খেজুরের চাহিদা বেশি।

গত বছর প্রতি কেজি আজোয়া ১ হাজার ৬০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এখন সেই খেজুর ৫০০ টাকায় মিলছে বলে জানান কোতোয়ালীর মোড় এলাকার খেজুর বিক্রেতা মো. সামশুদ্দিন।

তিনি বলেন, পাকিস্তানের শুকনো খুরমা খেজুর, লম্বা মেডজুল, মাংসল আম্বর ও সুপ্লিন খেজুরের দামও তুলনামূলক অনেক কম। তিউনিশিয়ার খেজুরও বাজারে মোটামুটি চলে। এগুলো আাঁটিসহ পাওয়া যায়। কিছু আছে শুকনো আর কিছু ভেজা। সবচেয়ে সস্তা জায়েদি খেজুর খুচরা বাজারে ৫০-৬০ টাকায় মিলছে।  

বাংলাদেশ সময়: ০৯৩০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০২১
এসি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad