ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

সেই কানু কুমার নাথের সরকারি বেতন বন্ধের নির্দেশ

মিজানুর রহমান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৪৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০২১
সেই কানু কুমার নাথের সরকারি বেতন বন্ধের নির্দেশ

চট্টগ্রাম: দুই প্রতিষ্ঠান থেকে সরকারি বেতন-ভাতা নেওয়া কানু কুমার নাথের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা দায়ের করেছে স্থানীয় সরকার বিভাগ।  

ইউনিয়ন পরিষদ সচিব হিসেবে গ্রহণ করা তার বেতন-ভাতা বন্ধ রাখার নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে স্থানীয় সরকার বিভাগের পক্ষ থেকে।

২৭ বছর ধরে দুইটি চাকরিতে সরকারি দুইটি খাত থেকে বেতন-ভাতা গ্রহণ করছিলেন হাটহাজারীর মির্জাপুর ইউপি সচিব কানু কুমার নাথ।

তিনি ইউপি সচিব হিসেবে সরকারি কোষাগার থেকে বেতন-ভাতা নেওয়ার পাশাপাশি ফটিকছড়ির হেয়াকোঁ বনানী ডিগ্রি কলেজের এমপিওভুক্ত শিক্ষক হিসেবেও সরকারি বেতন-ভাতা নিচ্ছিলেন।

দীর্ঘদিন ধরে কানু কুমার নাথ দুইটি চাকরিতে সরকারি দুইটি খাত থেকে বেতন-ভাতা গ্রহণ করলেও গত ১১ ফেব্রুয়ারি হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রুহুল আমিনের তদন্তে বিষয়টি ধরা পড়ে।  

১২ ফেব্রুয়ারি পুরো ঘটনার আদ্যোপান্ত নিয়ে ‘দুই প্রতিষ্ঠানের সরকারি বেতন নেন কানু কুমার নাথ’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশ করে বাংলানিউজ।

এরপর ১৮ ফেব্রুয়ারি স্থানীয় সরকার বিভাগ চট্টগ্রামের উপ-পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) ড. বদিউল আলমের সই করা এক অফিস আদেশে কানু কুমার নাথের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানানো হয়।

অফিস আদেশে বলা হয়- একই সাথে একাধিক চাকরিতে কর্মরত থাকায় কানু কুমার নাথ কোনো দায়িত্বই সঠিকভাবে পালন করেননি। ফলে মির্জাপুর ইউনিয়ন পরিষদের সার্বিক কর্মকাণ্ডে চরম অব্যবস্থাপনা, দায়িত্বে গাফিলতি ও অদক্ষতা পরিলক্ষিত হয়েছে।

‘দায়িত্বে অবহেলা ও বিধি বহির্ভূতভাবে একাধিক চাকরিতে নিয়োজিত হয়ে সরকারি দুইটি খাত থেকে বেতন-ভাতা গ্রহণ করা দুর্নীতির শামিল। যা স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) কর্মচারী চাকরি বিধিমালার পরিপন্থী। ’

অফিস আদেশে আরও বলা হয়- দুই পদের বিপরীতে সরকারি কোষাগার থেকে বেতন-ভাতা গ্রহণ করার অভিযোগের প্রেক্ষিতে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা রুজু করা হলো। আগামী ৭ কার্যদিবসের মধ্যে অভিযোগের বিষয়ে কারণ দর্শানোর জবাব দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া গেল।

দুই প্রতিষ্ঠান থেকে বেতন-ভাতা গ্রহণ করার কারণে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত ইউপি সচিব হিসেবে কানু কুমার নাথের সরকারি বেতন-ভাতা বন্ধ থাকবে বলেও অফিস আদেশে উল্লেখ করা হয়।

জানতে চাইলে স্থানীয় সরকার বিভাগ চট্টগ্রামের উপ-পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) ড. বদিউল আলম বাংলানিউজকে জানান, একজন ব্যক্তি দুইটি ভিন্ন চাকরিতে সরকারি দুইটি খাত থেকে বেতন-ভাতা গ্রহণ করতে পারেন না। এ কারণে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

তিনি বলেন, কানু কুমার নাথকে ৭ কার্যদিবসের মধ্যে কারণ দর্শানোর নোটিশের জবাব দিতে বলা হয়েছে। বিভাগীয় মামলা শেষ না হওয়া পর্যন্ত ইউপি সদস্য হিসেবে তার বেতন-ভাতা গ্রহণ বন্ধ থাকবে।  

বাংলাদেশ সময়: ২১৪০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০২১
এমআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।