চট্টগ্রাম: আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সংগতি রেখে দেশে খুচরা পর্যায়ে ভোজ্যতেলের দাম নির্ধারণ করলেও সাধারণ মানুষের জন্য টিসিবির মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে তেল বিক্রি অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
বৃহস্পতিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে নগরের নাসিরাবাদে বাংলাদেশ চা বোর্ডের প্রধান কার্যালয়ে ‘বঙ্গবন্ধু স্মৃতি গ্যালারি’ ও ‘বঙ্গবন্ধু কর্নার’ উদ্বোধন শেষে মন্ত্রী সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেছে, ভোগ্যপণ্যের দর নির্ধারণে মন্ত্রণালয়ে একটি কমিটি আছে। যেখানে ব্যবসায়ীরাও আছেন।
তিনি বলেন, এখন মানুষের কষ্ট হচ্ছে। তারপরও আমরা টিসিবির মাধ্যমে ভর্তুকি দিয়ে সাধারণ মানুষকে তেল দেওয়ার চেষ্টা করেছি। আগামীতেও আমরা করব।
এক প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী বলেন, রমজান মাস সামনে রেখে ভোজ্যতেল, চিনি, গুড়, খেজুর, পেঁয়াজসহ সব পণ্যই ব্যবসায়ী ও টিসিবির মাধ্যমে বিশাল পরিমাণ মজুদ আছে। ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা আশ্বাস দিয়েছেন, রমজানে ভোগ্যপণ্যের দাম যৌক্তিক পর্যায়ে রাখবেন।
খুচরা বাজারে চালের দাম প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, আমদানি করা চাল দেশে আসা শুরু হয়েছে। আন্তর্জাতিক বাজারেও চালের দাম কিছুটা বাড়তি। আমাদের বোরো ধান উঠে গেলে আর সমস্যা হবে না। আশাকরি আর দাম বাড়বে না।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরসহ সরকারের বিভিন্ন উইং চাল, তেলসহ নিত্যপণ্যের বাজার মনিটরিং অব্যাহত রয়েছে। সব রকম প্রস্তুতি রয়েছে।
খোলা সয়াবিন তেলের লিটার ১১৫ টাকা, বোতলজাত ১৩৫
বুধবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে অত্যাবশকীয় পণ্য বিপণন ও পরিবেশক বিষয়ক জাতীয় কমিটির সভা শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি জানিয়েছেন, প্রতি লিটার সয়াবিন খোলা বাজারে মিল গেটে ১০৭ টাকা, পরিবেশক মূল্য ১১০ টাকা এবং খুচরা মূল্য ১১৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিনের মিল গেট মূল্য ১২৩ টাকা, পরিবেশক মূল্য ১২৭ টাকা এবং খুচরা মূল্য ১৩৫ টাকা। ৫ লিটার বোতলজাত সয়াবিনের মিল গেট মূল্য ৫৮৫ টাকা, পরিবেশক মূল্য ৬০০ টাকা এবং খুচরা মূল্য ৬২৫ টাকা। আমাদের দেশে যে তেল ব্যবহার করি, তার ৭০ শতাংশ পাম সুপার, যার প্রতি লিটারের মিল গেট মূল্য (খোলা) ৯৫ টাকা, পরিবেশক মূল্য ৯৮ টাকা এবং খুচরা বাজারে ১০৪ টাকা মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে।
>> চা বোর্ডে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি গ্যালারি ও কর্নার উদ্বোধন
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০২১
এআর/টিসি